তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান এবার রাজ্যেই! মুকুলের দিল্লি রাজনীতিতে টানা হল রাশ
লোকসভা ভোটের পর থেকে নিয়মিত বিজেপিতে যোগদান পর্ব চলছিল। কিন্তু তারপর তারা উল্টো টার্ন নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন তৃণমূলে। তা নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিজেপি।
লোকসভা ভোটের পর থেকে নিয়মিত বিজেপিতে যোগদান পর্ব চলছিল। কিন্তু তারপর তারা উল্টো টার্ন নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন তৃণমূলে। তা নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিজেপি। এই অবস্থায় যোগদান নিয়ে তীব্র তরজা শুরু হয়েছে রাজ্য বিজেপিতে। সেই বিতর্কে রাশ টানতে এবার দিল্লিতে গিয়ে যোগদান কার্যত বন্ধ করে দেওয়া হল।
১০ আগস্ট রাজ্য সফরে আসছেন বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা। তার আগে তিনি নির্দেশ দেন, রাজ্য বিজেপির অনুমোদন নিয়ে রাজ্য অফিসেই যোগদান করাতে হবে অন্য দল থেকে আসা নেতা-নেত্রীদের। কারণ বেশ কিছু নেতা বিজেপিতে যোগদান করে এলাকায় নিজের মতো করে দল চালাচ্ছে।
সংগঠন বাড়াতে গিয়ে নতুন এক সংকট ক্রমশ গ্রাস করে নিচ্ছে রাজ্য বিজেপিকে। প্রতি এলাকাতেই নব্য ও আদি বিজেপির দুটি পৃথক দল চলছে। তার জেরে রাজ্য বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার নিচ্ছে। একই জায়গায় দুটি পৃথক দল চালানো বন্ধ করতেই রাজ্য বিজেপি দফতরে যোগদান করানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
রাজ্য বিজেপিকে টপকে দিল্লিতে গিয়ে আর যোগদান করানো হবে না। দিল্লিতে গিয়ে যারা যোগদান করছেন, তারাই রাজ্য বিজেপিতে তোয়াক্কা করছে না বলে প্রকারান্তরে বুঝিয়ে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। এই সিদ্ধান্তে মুকুল রায়ের যোগদান করানোর প্রক্রিয়াও খানিক ধাক্কা খেল। এতদিন মুকুল রায় বিজেপির সংগঠন বাড়াচ্ছিলেন দিলীপ ঘোষকে অন্ধকারে রেখে। এবার থেকে দিলীপ ঘোষকে জানিয়েই তাঁকে সমস্ত কাজ করতে হবে।