আসন্ন পুরভোটে ‘বোড়ের চাল’ তৃণমূল কংগ্রেসের, বিজেপির স্ব-বিরোধিতা প্রকট হচ্ছে তীব্র
রাজ্যে পুরসভা ভোট যে দুয়ারে কড়া নাড়ছে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার। সম্ভাব্য দিনক্ষণও জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। এরপরই বিতর্ক বেধেছে।
রাজ্যে পুরসভা ভোট যে দুয়ারে কড়া নাড়ছে, তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সরকার। সম্ভাব্য দিনক্ষণও জানানো হয়েছে রাজ্যের তরফে। এরপরই বিতর্ক বেধেছে। বিজেপি এতদিন পুরভোট পুরভোট করে চিৎকার করলেও পরিস্থিতি বিচার করে এখনই পুরভোট চায় না একাংশ। স্ববিরোধী মত তীব্র হচ্ছে বিজেপির অন্দরে।
পরীক্ষার মরশুম শেষে ভোট হোক
রাজ্য সরকার পুরভোটের ইঙ্গিত দেওয়ার পর বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, পরীক্ষার মরশুমে ভোট করতে চাইছে শাসক তৃণমূল। তার কারণ ওরা প্রচারের কোনও সুযোগ দিতে চায় না বিরোধীদের। পরীক্ষায় জন্য মাইক প্রচার বন্ধ। তাই আমরা আবেদন করব পরীক্ষার মরশুম শেষে ভোট করা হোক।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনে মুকুলরা
এরপর বিজেপির পক্ষ থেকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মুকুল রায় ও জয়প্রকাশ মজুমদার দাবি করেন, তাঁরা এপ্রিলের মাঝামাঝি পুরভোট চান না। পুরভোট পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানান তাঁরা। পরীক্ষা শেষ হলে পুরসভার নোটিশ জারির পক্ষে তাঁরা। এমনই মত রাজ্য বিজেপির।
দিলীপ ঘোষের স্ববিরোধী মন্তব্য
কিন্তু শনিবার দিলীপ ঘোষ আবার ভিন্ন কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা কখনও পুরসভা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলিনি। আমরা বরাবর সওয়াল করে এসেছি অবিলম্বে পুরসভা ভোট করার। কিন্তু শাসক দলই তা পিছিয়ে দিয়েছে বহু পুরসভায় মেয়াদ শেষ হওয়া সত্ত্বেও।
'ভয় পেয়েছে তৃণমূল'
দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা কখনও পুরসভা নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার কথা বলিনি। আমরা এগোচ্ছি। আর তা দেখেই ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই ওরা পুরসভা নির্বাচন করতে চাইছে না। আমরা তো চাই ভোট হোক। এমনই পরস্পরবিরোধী কথা শোনা ছাচ্ছে বিজেপিতে।
স্ব-বিরোধিতা প্রকট বিজেপিতে
এই পরিস্থিতিতে রাজনৈতিক মহলের একটা অংশের মত, বিজেপির বক্তব্যে এই স্ব-বিরোধিতা প্রকট করছে বিজেপি এখনও তৈরি নয়। মুখে তৃণমূলের সমালোচনা করলেও, তারা চাইছে ভোট একটু দেরিতে হলেই সুবিধা হয়। অন্তত প্রচারের সময়টা তারা পাবে। সেইসঙ্গে সংগঠনও গুছিয়ে নিতে পারবে।