তৃণমূলের হয়ে প্রচারে ঝড় ২০২১ বিধানসভার বিজেপি প্রার্থীর, অন্য সমীকরণ উপনির্বাচনে
তৃণমূলের হয়ে প্রচারে ঝড় ২০২১ বিধানসভার বিজেপি প্রার্থীর, অন্য সমীকরণ উপনির্বাচনে
কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে এসে টানা তিনবার বিধায়ক সহয়েছিলেন জয়ন্ত নস্কর। ২০২১-এর নির্বাচনের জেতার পর তাঁকে করোনার কাছে পরাজিত হতে হয়েছে। ফলে দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় হতে চলেছে উপনির্বাচন। এবার নির্বাচনে তৃণমূল বিধায়ক যাঁর বিরুদ্ধে লড়েছিলেন সেই প্রার্থীই এবার তৃণমূলের হয়ে প্রচার চালাচ্ছেন।
জয়ন্ত নস্করের আসনে এবার কার রাজ
দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবায় জয়ন্ত নস্করই ছিলেন শেষ কথা। তাঁর দাপটে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকলেও তা মাথাচাড়া দিতে পারেনি। বরং তাঁর মৃত্যুর পর ব্লক তৃণমূলে সাময়িক ভাঙন ধরে। কে হবেন পরবর্তী নেতা বা বিধায়ক তা নিয়েই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়। জয়ন্ত নস্করের ছেলে বাপ্পাদিত্যকে নিয়ে অন্তর্রকলহ তৈরি হয়। শেষে প্রার্থী হন সুব্রত মণ্ডল। আগে প্রধান, উপপ্রধান ছিলেন। সর্বক্ষণের রাজনৈতিক কর্মী তিনি। তাঁর সামনে এবার আরও বড় লড়াই।
তৃণমূলের প্রচারে বিজেপির একুশের প্রার্থী
আর এই লড়াইয়ে তিনি পাশে পেয়ে গিয়েছেন ২০২১-এর নির্বাচনের বিজেপি প্রার্থী বরুণ প্রামাণিককে। তিনি জয়ন্ত নস্করের কাছে হেরেছিলেন ২৪ হাজার ভোটে। পেয়েছিল ৮২ হাজারের মতো ভোট। জয়ন্ত নস্করের মৃত্যুর পরে তিনি বিজেপি ছেড়ে আরা তৃণমূলে ফিরে এসেছেন। তাঁর হাত ধরে যাঁরা বিজেপিতে গিয়েছিল, তৃণমূলের সেই অংশের ঘরওয়াপসি হয়েছে। অর্থাৎ তৃণমূলে এখানে আরও শক্তিশালী হয়েছে।
তৃণমূল প্রার্থীকে বিধানসভায় পাঠানোর ব্রত
বরুণ প্রামামিক বলেন, জয়ন্তবাবুর সঙ্গে সাময়িক বিবাদের কারণে আমি দল ছেড়েছিলাম। সেই বিবাদের আর কোনও অস্তিত্বই নেই। সেই মানুষটাই আমাদের ছেড়ে চলে গিয়েছেন। ফলে তৃণমূলে ফিরে এসেছি। তবে জয়ন্তদার অভাব অনুভব করছি। তাই জয়ন্তদার শূন্য আসনে তৃণমূল প্রার্থীকে বিধানসভায় পাঠানোর ব্রত নিয়েছি আমি।
তৃণমূল প্রার্থী জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী গোসাবায়
গোসাবায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে রাশি রাশি অভিযোগ এনেছে বিজেপি। আয়লা বিধ্বস্ত গোসাবায় কংক্রিটের বাঁধ থেকে শুরু করে গদখালি সেতু, দ্বীপাঞ্চলের যোগাযোগ সমস্যা, পানীয় জল সমস্যাকে ইস্যু করেছেন বিজেপির প্রার্থী পলাশ রানা। সর্বোপরি ত্রাণ দুর্নীতির অভিযোগও সামনে এনেছেন তিনি। ম্যানগ্রোভ ধ্বংসের অভিযোগও তুলেছেন বিজেপির প্রার্থী। তবে সেই অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত করে বরাবর জয়মাল্য উঠেছে তৃণমূল প্রার্থীর গলায়। এবারও তার অন্যথা হবে না বলেই জানিয়েছে তৃণমূল।
বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ ভোটের ক্রমবর্ধমানতা রাখা
এই কেন্দ্রে বিজেপির ভোট উত্তরোত্তর বেড়েছে। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি পায় সাড়ে ১১ হাদার ভোট, ২০১৯-এর লোকসভায় তা বেড়ে হয় ৬৫ হাজার ভোট। আর ২০২১-এর বিধানসবা নির্বাচনে বিজেপি পায় ৮২ হাজার ভোট। এখন বিজেপির কাছে চ্যালেঞ্জ সেই ভোটের ক্রমবর্ধমানতা বজায় রাখা। তৃণমূলেরও ভোট বেড়েছিল ২০১৬ ও ২০১৯ সালে। তবে ২০২১ সালে ভোট সামান্য কমে তৃণমূলের।