মমতার বিরুদ্ধে নালিশ নিয়ে রাষ্ট্রপতির দরবারে বিজেপি, দেশজুড়ে আন্দোলনের নির্দেশ মোদীর
পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেটুকু অক্সিজেন পেয়েছে রাজ্য বিজেপি, তা সুদে-আসলে কাজে লাগানোই একমাত্র উদ্দেশ্য। তাই পঞ্চায়েতে সন্ত্রাসের অভিযোগে আন্দোলন কর্মসূচি তারা জারি রাখতে চায়।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেটুকু অক্সিজেন পেয়েছে রাজ্য বিজেপি, তা সুদে-আসলে কাজে লাগানোই একমাত্র উদ্দেশ্য। তাই পঞ্চায়েতে সন্ত্রাসের অভিযোগে আন্দোলন কর্মসূচি তারা জারি রাখতে চায়। সেই কারণেই মোদী-অমিত জুটির নির্দেশ বাংলায় জায়গা করতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আন্দোলন জারি রাখতে হবে।
সেই লক্ষ্যে বিজেপির পরবর্তী কর্মসূচি হোক দেশজুড়ে রাজ্যের আন্দোলনকে দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া। বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বেক ব্যাখ্যা, এই মুহূর্তে মমতা শুধু বাংলার নেত্রী নন, তিনি মোদী বিরোধী জোটের অন্যতম প্রধান মুখ। তাই তাঁর বিরুদ্ধে আন্দোলনকে গোটা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দিতে হবে। মমতার রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট-সন্ত্রাসকে হাতিয়ার করতে হবে তাঁরই বিরুদ্ধে।
প্রতি রাজ্যের রাজধানীতে বিক্ষোভ অবস্থান চালানো হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে নালিশ জানানো হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। তারপর তা শুধু বাংলায় নয়, বাংলা ছাড়া অন্যান্য রাজ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে আন্দোলন। মমতার স্বরূপ প্রকাশ করেল দিতে হবে অন্য রাজ্য সামনে। মমতার ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্যই এই উদ্যোগ নিতে শুরু করেছে বিজেপি।
রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বেলাগাম সন্ত্রাস হয়েছে। সেই সন্ত্রাসে ভর করেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রাম দখল করতে পেরেছেন। তা সত্ত্বেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে বিজেপি যে বেশ কিছু জায়গায় শাসকের রাতের ঘুম কেড়ে নিতে পেরেছে, সেই সাফল্যও তুলে ধরতে হবে। বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাশ বিজয়বর্গীয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের এই পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
সেইমতোই ২৫ জুন সব রাজ্যের রাজধানীতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সন্ত্রাসের প্রতিবাদে সরব হবেন বিজেপি নেতারা। প্রতি রাজ্যেই বঙ্গ বিজেপির একজন করে নেতা উপস্থিত থাকবেন। এরপর ২ জুলাই দিল্লির রাজঘাটে ধরনা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়, দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, শমীক ভট্টাচার্য-সহ দলের সাংসদ ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা।
পঞ্চায়েত হিংসায় নিহতদের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত থাকেবন ধরনায়। উপস্থিত থাকবেন আক্রান্ত কর্মীরাও। ওইদিনই সকালে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে দরবার করবেন বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল। তার আগে ১৮ জুন থেকে ২৪ জুন রাজ্যের সব জেলায় থানা ঘেরাও ও ধরনা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।