অনুব্রতর গড়ে ফুটল পদ্ম, শঙ্কা উড়িয়ে বীরভূমের সবুজ মাটিতে এবার গেরুয়া পঞ্চায়েত
অনুব্রত মণ্ডলের দুর্গে থাবা বসাল বিজেপি। বিজেপি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করল তৃণমূলের গড় বীরভূমের মল্লারপুরে। তৃণমূলের হাতছাড়া হল পঞ্চায়েত।
অনুব্রত মণ্ডলের দুর্গে থাবা বসাল বিজেপি। বিজেপি পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠন করল তৃণমূলের গড় বীরভূমের মল্লারপুরে। তৃণমূলের হাতছাড়া হল পঞ্চায়েত। একদিকে যখন পদ্ম ফুটল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় কেষ্টর খাসতালুকে, তখনই দীর্ঘ ৪০ বছর পর মহম্মদবাজারের আঙ্গরগড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতর দখল নিল তৃণমূল।
তবে তৃণমূলের এই সাফল্যের মধ্যেও বীরভূমে বিজেপির উত্থান উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতিতে। বিশেষ করে অনুব্রত মণ্ডলের বীরভূমে বিজেপির বোর্ড গঠন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, এদিন বীরভূমের ১০টি বোর্ড গঠন হওয়ার কথা ছিল। তার মধ্যে ৯টি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। একটি বোর্ড গঠন স্থগিত রাখা হয়েছে।
মযুরেশ্বর ব্লকের মল্লারপুর এক নম্বর পঞ্চায়েতে বিজেপি ৯টি আসয়ে জয়যুক্ত হয়েছিল। তৃণমূল জয়ী হয় চারটি আসনে। স্বভাবতই এই পঞ্চায়েতে বিজেপি বোর্ড গড়বে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অভিযোগ, বিজেপির জয়ী প্রার্থীদের দলে টেনে এই পঞ্চায়েত দথলের চেষ্টা করে তৃণমূল। কিন্তু তৃণমূলের সেই অভিসন্ধি রুখে গেরুয়া আবিরে রাঙা হয়ে ওঠেন বিজেপিকর্মীরা।
বিজেপি জেলা সভাপতি বলেন, বীরভূমের যে জায়গায় ভোট হয়েছিল, আমরা সেখানে ভালো ফল করেছি। যেমন এই মল্লারপুর। সেইমতো আমরা বোর্ড দখল করেছি। তবে আমরা আশঙ্কিত ছিলাম শেষপর্যন্ত বোর্ড গঠন করা সম্ভব হবে কি না। এদিন সেই আশঙ্কা উড়িয়ে আমরা বোর্ড গড়লাম।
এদিন ময়ুরেশ্বরের অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। আর তৃণমূলের উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে ছিল মহম্মদবাজারের আঙ্গারিয়া পঞ্চায়েত। এই পঞ্চায়েতে ৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পাঁচটি, দুটি বিজেপি ও দুটি আসনে সিপিএম জেতে। এদিন অনুব্রত মণ্ডল বিজেপির বোর্ড গঠন নিয়ে কোনও মন্তব্যে না গিয়ে উন্নয়নের তত্ত্ব সাজান। তিনি বলেন, বোর্ড গঠন করার কাজ শুরু হয়েছে। এবার উন্নয়নের স্রোত বইবে।