তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে বড়সড় ভাঙন! জ্যোতিপ্রিয়র গড়ে থাবা বসাল বিজেপি
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গড়ে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে ভাঙন ধরিয়ে দিল বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রায় তিন শতাধিক সংখ্যালঘুকর্মী।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গড়ে তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে ভাঙন ধরিয়ে দিল বিজেপি। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রায় তিন শতাধিক সংখ্যালঘুকর্মী। দলত্যাগীদের মধ্যে যেমন ছিলেন তৃণমূলের কর্মী, ছিলেন সিপিএমেরও। সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসিয়ে স্বভাবতই খুশি বিজেপি জয় বন্দ্যোপাধ্যায় ও নাজিয়া ইলাহিরা।
সম্প্রতি বিজেপির তফশিলি মোর্চার ডাকে একটি জনসভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় উপস্থিতি ছিলেন বিজেপির সংখ্যালঘু মুখ তথা একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েপ অনুগামী বলে পরিচিত আইনজীবী নাজিয়া ইলাহি। ছিলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের উপস্থিতিতেই তিন শতাধিক কর্মী যোগ দেন বিজেপিতে। তাঁদের হাতে গেরুয়া ঝান্ডা তুলে দেন জয়-নাজিয়ারা।
বিজেপি মনেন করছে, তাঁদের সংখ্যালঘু ভোট বাড়ছে। এটা ইতিবাচর ইঙ্গিত। সংখ্যালঘুরা যে তাঁদের শিবিরে আসছেন, তাতে প্রমাণিত হচ্ছে বিজেপি সাম্প্রদায়িক নয়। আর বাংলায় ক্ষমতায় আসতে গেলে নিজেদের গা থেকে সংখ্যালঘু তকমা ঝেড়ে ফেলা সবার আগে দরকার। সেই কাজে ক্রমশই এগোচ্ছে বিজেপি।
[আরও পড়ুন: বিজেপির রাজ্য সভাপতিকে চতুষ্পদ, পুঁটিমাছ বললেন রবীন্দ্রনাথ! কেন, দিলেন ব্যাখ্যা]
এদিন জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বামজমানায় বাংলার মানুষের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। সেই অবস্থা থেকে মুক্তি চেয়েছিল বাংলার মানুষ। তখনই আবির্ভাব হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সাদা শাড়ি, হাওয়াই চটি, টালির চাল দেখে মানুষ মনে করেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই আসল লোক। কিন্তু সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর দেখা গেল সোনার বাংলা তো পেলামই না, বাংলা সন্ত্রাসের রাজত্ব পরিণত হল। তাই বাংলা আবার মুক্তি চাইছে। এবার বাংলাকে প্রকৃত মুক্তির স্বাদ দেবে বিজেপি।
[আরও পড়ুন:রণেভঙ্গ বিজেপির! দু'ঘণ্টা আগেই বনধ প্রত্যাহার করে ব্যাখ্যা দিলেন দিলীপ ঘোষ]
তিনি বলেন, একমাত্র মোদিজিই সংখ্যালঘুদের স্বপ্নগুলোকে সত্যি করে দেখাচ্ছেন। তিনিই পারেন রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজের মুখে হাসি ফোটাতে। সেই কারণেই রাজ্যের সংখ্যালঘু মানুষেরা ছুটে আসছেন তাঁদের দিকে। মোদীকেই ত্রাতা ভাবছেন এ রাজ্যের মানুষ। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনেই তা বুঝতে পেরে যাবেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেদিনই সূচনা হবে বাংলায় পরিবর্তনের।
[আরও পড়ুন: বিজেপির জমিদারি নাকি যে বাস ভাঙছে, মিলান থেকে সাবধান করলেন মমতা]