গোর্খাল্যান্ড আবেগে শান তৃণমূল ঘনিষ্ঠ তামাংয়ের! বিজেপি সাংসদকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি
পাহাড়ে ফের জেগে উঠেছে গোর্খাল্যান্ড আবেগ। বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী যে ইস্যু উস্কে দিয়েছিলেন, সেই আবেগেই গা ভাসালেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ গোর্খা জনমুক্তি প্রধান বিনয় তামাং।
পাহাড়ে ফের জেগে উঠেছে গোর্খাল্যান্ড আবেগ। বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী যে ইস্যু উস্কে দিয়েছিলেন, সেই আবেগেই গা ভাসালেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ গোর্খা জনমুক্তি প্রধান বিনয় তামাং। তৃণমূল কংগ্রেসের সহযোগী হয়েও গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে তিনি বেসুরো গাইতে শুরু করলেন। হঠাৎ করেই গোর্খাল্যান্ড দাবিতে সরব হওয়ায় ধন্যবাদ জানালেন স্বামীকে।
বিজেপি সাংসদের টুইটের আগে তামাংয়ের বিবৃতি
বিজেপি সাংসদের টুইটের আগে ৮ ফেব্রুয়ারি বিনয় তামাং বলেছিলেন, পাহাড়ে পরপর তিনবার জিতেছে বিজেপি। গোর্খাল্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দিয়েই তারা জিতেছে। মানুষও তাদের সেই আশায় জিতিয়েছেন। পৃথক রাজ্য হোক বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল, কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও তা করেনি।
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী টুইট-বার্তা
এরপর ১১ ফেব্রুয়ারি দিল্লির নির্বাচনে হারের পর সুব্রহ্মণ্যম স্বামী টুইট করেন, অনেক রাজ্যেই আমরা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখতে পারিনি। গোর্খাল্যান্ডকে অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার। প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেই গোর্খাল্যান্ডকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের।
স্বামীর টুইটের পর বিনয় তামাংয়ের বার্তা
এরপরই সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে ধন্যবাদ জানিয়ে চিঠি লেখেন তৃণমূল ঘনিষ্ঠ মোর্চা নেতা বিনয় তামাং। তিনি লেখেন, আজ পর্যন্ত কোনও বিজেপি নেতা প্রকাশ্যে গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থন করেননি। সুব্রহ্মণ্যম স্বামীকে ধন্যবাদ তিনি কোনও রাখঢাক না করে স্পষ্ট কথা স্পষ্ট করেই বলেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু সিং বিস্ত কেন গোর্খাল্যান্ড নিয়ে সরব হচ্ছেন না।
গোর্খাল্যান্ডের কট্টর সমর্থক ছিলেন বিনয় তামাং
উল্লেখ্য, গোর্খাল্যান্ডের কট্টর সমর্থক ছিলেন বিনয় তামাং। বিমল গুরুংয়ের সহযোগী হিসেবে তিনি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আন্দোলন করেছেন। কিন্তু গোর্খাল্যান্ড আন্দোলনে বিমল গুরুং-রোশন গিরিরা পাহাড় ছাড়া হওয়ার বিনয় তামাং নরম হন। তিনি তৃণমূলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাহাড়ে শান্তি ফেরান। লোকসভা ভোটেও তিনি তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন।
গোর্খাল্যান্ড তাস খেললেন তামাং
এখন গোর্খাল্যান্ড তাস খেলে তিনি বিজেপির উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন। এটা্ তাঁর রাজনৈতিক কৌশল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। একদিকে বিজেপিকে চাপে রাখা, অন্যদিকে পাহাড়ে আবেগ উস্কে ফের প্রাসঙ্গিকতা ফিরে পাওয়াই তাঁর লক্ষ্যে।
লোকসভা ভোট দেখিয়েছে পথ
কেননা, লোকসভা ভোট প্রমাণ করেছে, তিনি পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের বিকল্প হয়ে উঠতে পারেনি। বিমল গুরুং না থেকেও তিনি পাহাড়ে তাঁর প্রার্থী রাজু সিং বিস্ততকে জিতিয়ে এনেছেন। মোর্চার সভাপতি হয়ে বিনয় তামাং পাহাডে থেকেও তাঁর প্রার্থীকে জেতাতে পারেননি।