সাবধান গুরুং! এবার হাটে হাঁড়ি ভেঙে দেবেন বিনয় তামাং
বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা যে জিটিএ-কে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছিলেন, সেই অভিযোগ বহু আগেই করেছিল রাজ্য সরকার। এবার গুরুংদের দুর্নীতির কথা মোর্চার বহিষ্কৃত নেতার মুখেই।
গুরুংদের অনেক দুর্নীতির তিনিও সাক্ষী। এতদিন মুখ বুজে সব সহ্য করেছেন। কিন্তু বিনা দোষে তাঁকে যেভাবে বলির পাঁঠা করা হয়েছে, তিনি কিছুতেই আর মুখ বুজে থাকবেন না। মোর্চা থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বিনয় তামাং এখন তোপ দাগছেন, গুরুংদের দুর্নীতির সমস্ত হাঁড়ি তিনি হাটের মাঝখানে ভেঙে দেবেন।
[আরও পড়ুন:রাজ্যের চিঠি সিকিমকে, গুরুংকে পাকড়াও করতে ফের অভিযানে রাজ্য পুলিশ ]
বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা যে জিটিএ-কে দুর্নীতির আখড়া বানিয়েছিলেন, সেই অভিযোগ বহু আগেই করেছিল রাজ্য সরকার। পাহাড়ে অচলাবস্থা শুরুর মুখে জিটিএ-তে বিশেষজ্ঞ অডিটরদের নিয়ে গিয়ে তদন্তও শুরু করিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপর থেকেই পাহাড় উত্তাল। তদন্ত রিপোর্ট ইতিমধ্যে নবান্নে চলেও এসেছে। তবে সেই তদন্ত সম্পূর্ণ করা গিয়েছে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যায়।
এতদিন পর গুরুং-গিরিদের নামে দুর্নীতির নালিশ শোনা গেল মোর্চার এক নেতার মুখেই। দল থেকে বিতাড়িত হয়ে বিনয় তামাং এখন তোপ দাগছেন, গুরুংদের বেনামি সম্পত্তি ও দুর্নীতিগুলি জনসমক্ষে তুলে ধরার। শনিবারই তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, গুরুং-বাহিনী তাঁকে খুন করতে পারে। তবু তিনি ভীত নন। তিনি বরাবর সামনে থেকে লড়াই চালিয়েছেন। পাহাড়ের আন্দোলনে জেল পর্যন্ত খেটেছেন।
এখনও তিনি সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেবেন পাহাড়বাসীকে। পাহাড়ের মানুষের ভালো চান তিনি। তাই তাদের কথা ভেবেই বনধ তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। আর সেজন্যই দল থেকে তাকে বেআইনিভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আর কেউ সমর্থন করুন না করুন, পাহাড়ের মানুষ আমার পাশে থাকবেন। কারণ আমি পাহাড়ের মানুষের মনের কথা বলেছি।
বিনয় তামাং এদিন দাবি করেন, তিনি সত্যি কথা বলতে ভয় পান না। গুরুংদের যাবতীয় দুর্নীতির নথি তিনি ফাঁস করে দিতে পারেন। তিনি বলেন, শুধু এ রাজ্যেই নয়, ভিনরাজ্য এমনকী বিদেশেও মোর্চা শীর্ষ নেতাদের বহু বেনামি সম্পত্তি রয়েছে। এতদিন তিনি চুপ ছিলেন। আজ যখন তাঁর নামে অপপ্রচার আর তিনি চুপ থাকবেন না। সবই প্রকাশ্যে আনবেন।