গোর্খাল্যান্ড নিয়ে দলে ভাঙনে চাপে মমতা, সর্বদল বৈঠক এগিয়ে কী বার্তা দিতে চাইলেন গুরুং
পাহাড়ে পৃথক রাজ্য গোর্খাল্যান্ডের সমর্থনে তৃণমূলের সঙ্গ ছাড়ছেন অনেকেই। তাতেই চাপে পড়া বিমল গুরুং নতুন উদ্যমে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ার পরিকল্পনা করতে চাইছেন।
পাহাড়ে অশান্তির আগুনের মধ্যেই নিহত দুই সমর্থকের মৃতদেহ নিয়ে মিছিল করল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। রবিবার এই শোক মিছিল শেষ করেই মোর্চা জানিয়ে দেয়, সর্বদল বৈঠক এগিয়ে আনছেন তাঁরা। ১৮ জুলাইয়ের পরিবর্তে সাতদিন আগে অর্থাৎ ১১ জুলাই হবে সর্বদল বৈঠক। পাহাড়ের আন্দোলন কোন পথে তা স্থির করতেই এই সর্বদলীয় বৈঠকের তারিখ এগনোর ভাবনা বিমল গুরুংদের। এরই মধ্যে পৃথক রাজ্যকে সমর্থন জানিয়ে পাহাড় তৃণমূলে শক্তিক্ষয় হয়ে চলায় নতুন উদ্যমে আন্দোলনে নামছে মোর্চা।
এদিন মিছিল চলাকালীন শান্তি বজায় থাকলেও মিছিল শেষ হওয়ার পরই ফের হিংসাশ্রয়ী আন্দোলনে সামিল হয়ে পড়েন মোর্চা সমর্থকরা। ফের সোনাদা থানায় আগুন লাগানো হয়। এদিন থানার বারাকে অগ্নিসংযোগ করে মোর্চা সমর্থকরা। রবিবার হওয়ায় থানার বারাক ফাঁকা ছিল। ফলে এই আগুনে কেউ হতাহত হননি।
শনিবার থেকেই ফের আগুন জ্বলছে পাহাড়ে। বিভিন্ন সরকারি ভবন, সোনাদা স্টেশন, থানা প্রভৃতি এলাকায় আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন মোর্চা সমর্থকরা। পুলিশও বিক্ষোভ প্রশমিত করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে, গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। অভিযোগ, সেই গুলিতেই প্রাণ হারান মোর্চা সমর্থকরা।
মোর্চার পরিকল্পনা ছিল নিহত সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করা। সেইমতো দুই সমর্থকের দেহ নিয়ে মিছিল করে মোর্চা নেতৃত্ব। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করেই এই মিছিল হয়। আপাত শান্তভাবে মিছিল শুরু হলেও, মিছিল যত এগিয়েছে, ততই উত্তপ্ত হয়েছে পরিস্থিতি। শেষমেশ আগুন ছড়িয়েছে দার্জিলিং থেকে শুরু করে কার্শিয়াং ও কালিম্পংয়েও।
এরই মধ্যে পাহাড়ে ফের ভাঙন ধরল তৃণমূলে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে পাহাড়ে সর্বপ্রথম যে বোর্ড গঠন করা হয়েছিল, সেই রাই বোর্ডের চেয়ারম্যান এদিন পদত্যাগ করেন। তিনি গোর্খাল্যান্ডকে সমর্থন জানিয়ে এই পদত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন। মোর্চার তরফে বাকি ১৪টি বোর্ডের চেয়ারম্যানদেরও পদত্যাগ করে পৃথক গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে সামিল হতে আবেদন জানানো হয়েছে। কালিম্পংয়ের তৃণমূল সভাপতি পাসাং তামাং পৃথক রাজ্যের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে ইস্তফা দিয়েছেন তাঁর পদ থেকে।