বিজেপির বাইক মিছিলের শুরুতেই হামলার অভিযোগ, মিছিল বন্ধে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য
বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিরোধ সংকল্প যাত্রা শুরু হল। সোমবার বেলা এগারোটা নাগাদ বিবেকানন্দর বাড়ির সামনে থেকে পতাকা নেড়ে যাত্রার সূচনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিরোধ সংকল্প যাত্রা শুরু হল। সোমবার বেলা এগারোটা নাগাদ বিবেকানন্দর বাড়ির সামনে থেকে পতাকা নেড়ে যাত্রার সূচনা করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বিতর্কের মধ্যেই শুরু হল বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিরোধ সংকল্প যাত্রা। সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ যাত্রা শুরুর কথা থাকলেও, সভা শুরু হয়ে টানবাহানা চলতে থাকে। নির্দিষ্ট সময়ে যাত্রা শুরু না হওয়ায় আপত্তি জানান, আদালত নিযুক্ত স্পেশাল অফিসার। সিডিউল মানা না হলে আদালতের নির্দেশও অমান্য করা হবে বলে, বিজেপি নেতৃত্বকে সতর্ক করেন তিনি। এরপর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ যাত্রার সূচনা করেন। সেই সময় মিছিলের সূচনাস্থলে ছিলেন, বিজেপি নেতা মুকুল রায়, রাহুল সিনহা এবং যুব মোর্চার সভাপতি দেবজিত সরকার।
যদিও মিছিল কিছুটা এগিয়েই মুরারিপুকুরের কাছে তৃণমূলের হামলার মুখে পড়ে বলে অভিযোগ। যদিও কড়া পুলিশি তৎপরতায় এলাকা থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হয় বাইক মিছিলকে। এরপর মিছিল উল্টোডাঙা, যশোহর রোড হয়ে এগোতে থাকে। জানা গিয়েছে, সন্ধের পর মিছিল থামবে কৃষ্ণনগরে। সেখানেই রাত্রিযাপন। জায়গায় জায়গায় মিছিল থামিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়ার আয়োজনও করা হয়েছে বিজেপির তরফে। তবে আদালতের নির্দেশ মতো সেই সম্বর্ধনা সভায় কোনও ভাষণ দেওয়া যাবে না।
এদিকে বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিরোধ সংকল্প যাত্রা নিয়ে ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকে জানান, মিছিলে উত্তরপ্রদেশে রেজিস্ট্রেশন হওয়া অনেক বাইক রয়েছে। কয়েকটি বাইক ধরাও পড়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট জেনারেল। বিষয়টি লিখিত আকারে জমা দিতে বলেন বিচারপতি। আবেদনে রাজ্য সরকার মিছিল বন্ধের জন্য ফের আবেদন করে।
১২ জানুয়ারি শুক্রবার বিজেপি যুব মোর্চার প্রতিরোধ সংকল্প অভিযানকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পাথুরিয়া ঘাটা স্ট্রিট-সহ উত্তর কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। এরপর সেই দিনই ১৪-ই জানুয়ারি পর্যন্ত মিছিল স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রাম বাংলায় প্রচারের জন্য প্রতিরোধ সংকল্প যাত্রার আয়োজন করে বিজেপি। রাজ্য পুলিশের তরফে অনুমতি না মেলায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। তবে, বাঁকুড়া ও বীরভূম ছাড়া বাকি জেলাগুলিতে মিছিলের অনুমতি দেয় হাইকোর্ট।