বাংলায় তৈরি হচ্ছে সবচেয়ে বড় রথ, চাকা গড়াবে আষাঢ়ের শুক্লপক্ষে
বাংলায় তৈরি হচ্ছে সবচেয়ে বড় রথ, চাকা গড়াবে আষাঢ়ের শুক্লপক্ষে
পুরীর রথ যাত্রার মতোই বিখ্যাত বাংলার রথযাত্রা। অন্যতম মাহেশের রথ, এছাড়া বিভিন্ন পারিবারিক রথ উতসব তো রয়েইছে। জ্যৈষ্ঠ মাস অর্ধেক শেষ। তারপরেই আসবে আষাঢ়। আর এই মাসেই উজ্জাপিত হয় রথযাত্রা। এমন দিনের বাঙালি অপেক্ষা করে থাকে ঠিক দুর্গাপুজোর মতোই। হাতে আর বেশি সময় নেই। বেলঘরিয়া রথতলা বহু বছরের পুরনো। আর তার কাছেই তৈরি হচ্ছে বাংলার সবথেকে বড় রথ। দেখতে হবে অবিকল পুরীর জগ্ননাথ দেবের মতো। আর সেই সবচেয়ে বড় রথের চাকা তৈরি হয়ে গেল আজকে।
গত দেড় মাস ধরে ৩৭ জন কারিগর যারা ওড়িশা থেকে এসে এই বিশাল রথ তৈরির কাজ করে যাচ্ছেন। যা শেষ হবে পয়লা জুলাই। জানা গিয়েছে যে এই রথে সেই সমস্ত কাঠ থাকছে যা রয়েছে পুরীর জগ্ননাথের রথে। অশন , শাল, গৌড়াসহ নানা কাঠ দিয়ে তৈরি হচ্ছে এই রথ। খরচও অনেকটাই হচ্ছে। তবে রথ কমিটি জানাচ্ছে কোনও সমস্যা হচ্ছে না , কারণ মানুষ যারা জগ্ননাথের ভক্ত তারা এসে নিজেরাই এই রথ তৈরির অর্থ দান করছেন। রথ কমিটির এক সদস্য বলেন , "বেলঘরিয়া রথতলা আজকের নয়। বহু পুরনো, এখানে শ্রীরামকৃষ্ণ দেব এসেছেন, চৈতন্যদেব এই পথ দিয়ে হেঁটেই আরিয়াদহ পাঠ বাড়িতে গিয়েছেন। তো এর ঐতিহ্য নতুন করে বলার নেই। তাই রথ যখন এখানে গড়াবে মানুষের ঢোল এখানে উপচে পরবে বলে আমরা জানি"।
প্রতি বছর ওড়িশার পুরীতে পালিত হয় রথ যাত্রা। আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় দ্বিতিয়া) দিনে এটি অনুষ্ঠিত হয়। জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান দেবতা ভগবান জগন্নাথ, ভগবান বলভদ্র এবং দেবী সুভদ্রা। মন্দির থেকে তাদের রথে একটি আনুষ্ঠানিক শোভাযাত্রা হয়। উত্তরে দুই মাইল দূরে গুন্ডিচা মন্দিরের (গুন্ডিচা- রাজা ইন্দ্রদ্যুম্নের রানী) বড় দণ্ডায় বিশাল, রঙিন সজ্জিত রথগুলি প্রচুর ভক্তদের দ্বারা টানা হয়। গুন্ডিচা মন্দির থেকে ফেরার পথে, তিন দেবতা মৌসি মা মন্দিরের কাছে কিছুক্ষণের জন্য থামেন এবং পোড়া পিঠার একটি নৈবেদ্য পান, যা প্রভুর প্রিয় বলে মনে করা হয়। সাত দিন থাকার পর দেবতারা তাদের আবাসে ফিরে আসেন।
নিজেকে ছয় ঘণ্টা অক্সিজেন ছাড়াই গঙ্গার নিচে রেখে সাঁতারু মুকেশ গুপ্ত জলের নীচে রেকর্ড গড়েছেন
জগন্নাথ, বলভদ্র এবং সুভদ্রার তিনটি রথ প্রতি বছর ফাসি, ধৌসা ইত্যাদি নির্দিষ্ট গাছের কাঠ দিয়ে নতুনভাবে তৈরি করা হয়। এগুলি প্রথাগতভাবে দাসপল্লার প্রাক্তন রাজ্য ছুতোরদের একটি বিশেষজ্ঞ দল আনা হয় যাদের বংশগত অধিকার ও সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। একই কারনে কাঠগুলি ঐতিহ্যগতভাবে মহানদীতে ভেলা হিসাবে ভেসে থাকে। এগুলো পুরীর কাছে সংগ্রহ করা হয় এবং তারপর সড়কপথে পরিবহন করা হয়।