বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে ফের উদ্যোগী রাজ্য
বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে ফের উদ্যোগী রাজ্য
পোস্তার ভেঙে পড়া বিবেকানন্দ উড়ালপুলের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে ফের উদ্যোগী রাজ্য সরকার। পুর ভোটের আগে ওই উড়ালপুল নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যই নতুন করে এই তৎপরতা শুরু হয়েছে বলে খবর প্রশাসনিক সূত্রে। মূলত ওই উড়ালপুল নতুন করে চালু করা যায় কিনা তা দেখতে বিশেষজ্ঞ পরামর্শদাতা সংস্থাকে দায়িত্ব দিতে চলেছেন কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ। তার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়ে গিয়েছে।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর সব ঠিক থাকলে আসন্ন পুরভোটের আগেই উড়ালপুল পুনর্নির্মানের কাজ শুরু করা হতে পারে। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, 'এর আগে ব্রিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়োজিত কোনও সংস্থাই সঠিক ভাবে কিছু জানাতে পারেনি। ব্রিজটি মেরামত করা হবে নাকি পুরো ভেঙে ফেলা হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি তারা। সে জন্য নতুন করে বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে দেওয়া হবে। তারা সবটা খতিয়ে দেখে হেলথ সেফটি সার্টিফিকেট দেবে। সেই মতো উড়ালপুলের ভেঙে পড়া অংশ মেরামত করে কী ভাবে আবার চালু করা যায়, তার জন্য পদক্ষপ করা হবে।'
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিবেকানন্দ উড়ালপুলের বিপর্যয় তৃণমূল সরকারের কাছে অস্বস্তির। উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে বেশ কয়েক জনের প্রাণহানি হয়েছিল। তার পর বেশ কয়েক বছর কেটে গেলেও উড়ালপুলের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি সরকার। ফলে আসন্ন পুরভোটে বিষয়টিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার করতে পারে বিরোধীরা। তাই পুরভোটের আগেই কাঁটা তুলে ফেলতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য।
কেএমডিএ-র ইঞ্জিনিয়াররা জানাচ্ছেন, বিবেকানন্দ উড়ালপুলের যে অংশটি এখনও অক্ষত রয়েছে, তার ভারবহন ক্ষমতা কতটা এবং গাড়ি চলাচলের উপযোগী কি না, সেটা পরীক্ষা করে দেখবে কনসালট্যান্ট সংস্থা। উড়ালপুলের কোনও অংশ দুর্বল হলে সেটাকে কী ভাবে শক্তিশালী করা যায়, সে ব্যাপারেও পরামর্শ দেবে।
এদিকে যাত্রী নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার দ্বিতীয় পর্যায়ে শহরের আটটি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার কাজ শুরু করতে চলেছে। এই সেতুগুলো হল করুণাময়ী সেতু, আম্বেদকর সেতু, চেতলা আর সিসি সেতু, দুর্গাপুর সেতু, ঢাকুরিয়া সেতু, জীবনানন্দ সেতু, চিৎপুর সেতু ও উত্তর কলকাতার আর জি কর হাসপাতালের সামনে ক্যানাল সেতু। এই জন্যে দরপত্র ডাকার পরে চারটি বিশেষজ্ঞ সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। চার সংস্থা সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার দায়িত্ব পেয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। উল্লেখ্য এর আগে রাজ্য সরকার প্রথম ধাপে সাতটি উড়াল পুলের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করে তা মেরামতি করেছিল।