প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রীর! 'এক ব্যক্তি এক পদ' এই নিয়মেই পদত্যাগ কিনা জল্পনা তুঙ্গে
প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী। মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রথীন ঘোষ। হঠাত করে কেন ইস্তফা তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। তবে মন্ত্রী জানিয়েছেন, এর মধ্যে জল্পনা বা বিতর্কের কিছু নেই।
দলের নির্দেশ মেনেই মধ্যমগ্রাম পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন রথীনবাবু।

তবে তাঁর ইস্তফা দেওয়ার পর ফাঁকা হয়ে গিয়েছে মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুর-প্রশাসকের পদটি। এই পদের জন্যে একাধিক নাম শোনা যাচ্ছে। তবে খুব শীঘ্র এই পদের জন্যে আবেদন জানানো হবে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী।
তবে যেভাবে মানুষের কাজ পুরসভা চালিয়ে আসছিল সেভাবেই চলবে বলে দাবি তাঁর। পরিষেবা কিংবা এলাকার উন্নয়নে কোনও গাফিলতি সহ্য করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী। অন্যদিকে তাঁর ইস্তফা পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে তাহলে তৃণমূলে 'এক ব্যক্তি এক পদ' প্রথা চালু হয়ে গেল?
উল্লেখ্য, মানুষের রায়ে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃতীয়বারের জন্যে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসাটা খুব একটা সহজ ছিল না। সংগঠন থেকে শুরু করে একাধিক ফাঁকফোকর সামনে আসে। এই অবস্থায় দলের মধ্যে ব্যাপক রদবদলের সিদ্ধান্ত নেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
শোনা যায়, ভোট কৌসলি প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে দলের মধ্যে ব্যাপক রদবদলের সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মতো দলের মধ্যে আমূল পরিবর্তন ঘটিয়ে 'এক ব্যক্তি এক পদ' প্রথা নিয়ে এসেছেন। অর্থাৎ এক ব্যক্তি একাধিক পদে থাকার আর অধিকারী হবেন না।
দলের সাংগঠনিক কাজ যারা করবেন তাঁরা দলই করবেন আর যারা মন্ত্রিসভাতে আসছেন তাঁরা দায়িত্ব নিয়ে রাজ্য প্রশাসনের কাজ সামলাবেন। দলের বৈঠকে এমনটাই নির্দেশ দেন সুপ্রিমোর। সেই মতো একাধিক জেলা সভাপতিকে রদবদল করা হয়। যাদের মধ্যে কাউকে মন্ত্রী করেছেন মমতা আবার কাউকে সংগঠনকে ভালো ভাবে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায় রথীন ঘোষের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে শুরু হয়েছে জল্পনা। 'এক ব্যক্তি এক পদ' প্রথা মেনেই কি পুরপ্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী? বিধায়ক থাকাকালীন পুরসভার চেয়ারম্যান হন। কিন্তু ভোট না হওয়াতে পুরপ্রশাসক হিসাবে কাজ করছিলেন।
কিন্তু আজ মঙ্গলবার সেই পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। জানা গিয়েছে, রথীনবাবুর পদত্যাগের পরেই মধ্যমগ্রাম পুরসভাতে শুরু হয়েছে জরুরি বৈঠক। কীভাবে কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।
অন্যদিকে কার হাতে পুরপ্রশাসকের দায়িত্ব যাবে সে বিষয়েও আলোচনা হবে এই বৈঠকে। এমনটাই জানা যাচ্ছে।