নিয়োগ দুর্নীতিতে বড় পদক্ষেপ! তৃণমূল বিধায়ক মানিকের কোটি কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করল ED
নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বড় পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবারই মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। প্রায় ১৫৯ পাতারা চার্
Manik Bhattachary: নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বড় পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বুধবারই মানিকের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় ইডি। প্রায় ১৫৯ পাতারা চার্জশিট জমা পড়ে আদালতে। যেখানে মানিক ভট্টাচার্য কীভাবে কেলেঙ্কারি করেছেন সেই বিষয়টি চার্জশিটে তুলে ধরা হয়েছে বলে খবর।
এমনকি ঘুষের টাকা কীভাবে মানিকের স্ত্রীয়ের অ্যাকাউন্টে গেছে তাও উল্লেখ রয়েছে বলে খবর। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে স্ত্রীয়ের সঙ্গেই ইডির জমা দেওয়া চার্জশিটে নাম রয়েছে তাঁর ছেলেও। যদিও যা জানার পরেই কেঁদে ফেলেন 'কেলেঙ্কারির মাথা'। জানান, আমাকে মারো। কিন্তু ছেলে-স্ত্রীকে জড়িয় না।
ED has provisionally attached movable properties worth ₹7.93 Cr in the form of bank balance in 61 accounts and mutual funds belonging to Manik Bhattacharya,MLA, TMC & his family members in the Primary Teachers Recruitment Scam in WB. Total seizure
— ED (@dir_ed) December 8, 2022
& attachment stands ₹111 Cr.
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরও বড় পদক্ষেপ
আর এই চার্জশিট জমা পড়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই আরও বড় পদক্ষেপ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। দুর্নীতি মামলায় মানিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের ৬১টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে ইডির তরফে টুইট করে জানানো হয়েছে। তদন্তকারী সংস্থার খবর অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কোটি কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। বেশির ভাগটাই ঘুষ এবং তোলাবাজি করে নেওয়া হয়েছিল বলেও চাঞ্চল্যকর তথ্য ইডির হাতে এসেছে বলে খবর। যার একটা বড় ভাগ মানিকের অ্যাকাউণ্টে গিয়েছে বলেই দাবি তদন্তকারী সংস্থার।
মুল্য প্রায় প্রায় ৮ কোটি টাকা
এবার সেখানেই কার্যত পদক্ষেপ ইডির। তৃণমূল বিধায়ক সহ তাঁর আত্মীয় এবং ঘনিষ্ঠদের ৬১টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে। এই সমস্ত অ্যাকাউন্টেই দুর্নীতির টাকা পইছে গিয়েছিল বলে মনে করছেন ইডির আধিকারিকরা। এমনকি প্রায় ৮ কোটি টাকার ব্যাঙ্ক ব্যালেঞ্জ এবং মিউচুয়্যাল ফান্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডির তরফে টুইটে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে প্রায় ১১১ কোটি টাকার নগদ এবং সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর।
কিংপিন বলছে ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে কিংপিন বলছে ইডি। আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিটে একের পর এক বিস্ফোরক দাবি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে। ইডির দাবি, বিভিন্ন বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যে মোটা অঙ্কের টাকা তুলতেন মানিক। এমনকি সেই টাকা যেত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছেও। আর সেই টাকার বিনিময়ে বেসরকারি বিএড এবং প্রাইমারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (ডিএলএড)-কে ছাড়পত্র প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী দিতেন বলেও দাবি ইডির। এমনকি মানিক ঘনিষ্ঠ তাপস মন্ডলকে সামনে রেখেও নানা ভাবে তোলাবাজি চলত বলেও দাবি তদন্তকারী সংস্থার।