বাড়ল কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা! স্বাস্থ্যভবনেও করোনা'র থাবা, এক নজরে রাজ্যের পরিস্থিতি
ঝড়ের গতিতে বাড়ছে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় ১৪ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। থার্ড ওয়েভের শুরুতেই পরিস্থিতি ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে যাচ্ছে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন
ঝড়ের গতিতে বাড়ছে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ। গত ২৪ ঘন্টায় বাংলায় ১৪ হাজার মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। থার্ড ওয়েভের শুরুতেই পরিস্থিতি ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে যাচ্ছে। চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন ভয়ঙ্কর ভাবে।
এই অবস্থায় কড়া কোভিড বিধি লাগু করা হয়েছে বাংলায়। কিন্তু তাতেও কি পরিস্থিতি ঠেকানো যাবে? ক্রমশ আশঙ্কার কালো মেঘ তৈরি হচ্ছে বাংলার আকাশে। এক নজরে কে কোথায় কত আক্রান্ত হলেন।
আক্রান্ত বিধাননগর পুলিশ কমিশনার
থার্ড ওয়েভে ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন একেবারে প্রথম সারিতে থেকে লড়াই করছেন এমন করোনা যোদ্ধারা। তালিকায় পুলিশ আধিকারিক থেকে চিকিৎসক। এই অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার সহ মোট সাত জন। বেশ কিছু উপসর্গ দেখা গিয়েছিল পুলিশ কমিশনার সহ বেশ কয়েকজন ট্রাফিক ও বিভিন্ন থানার পুলিশ কর্মীদের। এরপর করোনা পরীক্ষা করানো হয়। রিপোর্ট আসলে জানা যায় পুলিশ কমিশনার সুপ্রতিম সরকার এবং আরও ছয়জন বিধাননগরের ট্রাফিক পুলিশ কর্মী ও বিভিন্ন থানার পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত।
স্বাস্থ্য দফতরে করোনা ঝড়!
স্বাস্থ্য দফতরে কার্যত করোনা ঝড়। স্বাস্থ্য ভবনে ৬৬ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও শতাধিকেরও বেশি আধিকারিক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীর করোনা পরীক্ষার জন্যে নমুনা পাঠানো হয়। প্রাথমিক ভাবে ৬৬ জনের রিপোর্ট এসেছে। এমনকি জ্বর এসেছে খোদ স্বাস্থ্য কর্তা অজয় চক্রবর্তীরও। আরও বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্য আধিকারিকের শরীরে উপসর্গ দেখা গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই অবস্থায় কীভাবে স্বাস্থ্য ভবন চলবে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন আধিকারিকরা।
বন্ধ হচ্ছে একের পর এক ব্যাঙ্কের শাখা
করোনার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ব্যাঙ্কগুলিতেও। কলকাতায় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একাধিক শাখাতে করোনার সংক্রমণ ছড়িয়েছে। ফলে বেশ কয়েকটি শাখা সিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৮ জন
পরিসংখ্যান বলছে, এনআরএসে একদিনে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১৯৮ জন। এর মধ্যে চিকিৎসক, নার্স, পিজিটি ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যাই প্রায় ১০০। গত কয়েকদিন ধরে শহরের একাধিক হাসপাতাল থেকেই চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। চিত্তরঞ্জন শিশু হাসপাতালেও পরিষেবায় প্রভাব পড়েছে। সব পরিষেবা চালু রাখা সম্ভব হচ্ছে না।
ভেঙে পড়তে পারে শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা
অন্যদিকে মঙ্গলবার পর্যন্ত যে হিসেব এসেছে, তাতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজে আক্রান্ত ২৫ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ৭২ ঘণ্টায় চিকিৎসক-জুনিয়র চিকিৎসক-চিকিৎসক পড়ুয়া মিলিয়ে ৮০ জন কোভিড পজিটিভ হয়েছেন। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে তিন দিনে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন চিকিৎসক-সহ ৯৩ জন। চিত্তরঞ্জন সেবা সদন, আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ, উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালেও আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে। ফলে ভেঙে পড়তে পারে শহরের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা।
বাড়ল কনটেনমেন্ট জোন
পরিস্থিতি ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। কলকাতাতে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা আক্রান্ত ছয় হাজারের কাছাকাছি। এই অবস্থায় কলকাতায় বাড়ানো হল কনটেনমেন্ট জোনের সংখ্যা। ২৫ থেকে একলাফে কলকাতার কনটেনমেন্ট জোন বেড়ে ৪৮। অন্যদিকে পুরসভাতেও এদিন নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন অনেকে।