‘অশ্বমেধে’র চার রথ মিশবে মোদীর সভায়, ঐতিহাসিক ব্রিগেডের পরিকল্পনা বিজেপির
নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ব্রিগেড ময়দানে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। তার আগে বের হবে রথ। সেই রূপরেখা স্পষ্ট হল সোমবার আসানসোলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্যের বৈঠকে।
একুশের মঞ্চে তৃণমূলের ব্রিগেড ঘোষণার অদ্যাবধি পরেই বিজেপি পাল্টা ব্রিগেডের হুঙ্কার ছেড়েছিল। আগামী বছর নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে ব্রিগেড ময়দানে সভা করবেন নরেন্দ্র মোদী। তার আগে বের হবে রথ। সেই রূপরেখা স্পষ্ট হল সোমবার আসানসোলে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে রাজ্যের বৈঠকে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে সেই রূপরেখা তুলে ধরেন।
রাজ্য বিজেপি স্থির করেছে, ব্রিগেডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভার প্রাক্কালে মোট চারটি রথ বের হবে। সারা রাজ্য পরিভ্রমণ করবে এই চার রথ। তারপর নরেন্দ্র মোদীর সভায় এই চার রথ মিলিত হবে। সেদিন বিরাট জনসমাগম করে বিজেপি দেখিয়ে দেবে, ২০১৯-এ নতুন ইতিহাস তৈরি করার জন্য বাংলার বিজেপি তৈরি।
দিলীপ ঘোষ বলেন, এই মুহূর্তে বিজেপিকে ঘিরে বাংলার রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন বিজেপি উত্থানে। সেই কারণে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে শক্তি প্রদর্শনে উঠে পড়ে নেমেছিল তৃণমূল। তারা এবার একা নয়, বিজেপিকে হারাতে দেশের সমস্ত নেতা-নেত্রীদের এনে ব্রিগেডে সমাবেশ করার হুঙ্কার ছেড়েছেন।
[আরও পড়ুন: মোদীর সভায় কোন জেলা থেকে কত সমর্থক, তথ্য দিতে না পেরে তোপের মুখে দিলীপরা]
তা দেখে বিজেপিও চুপ করে বসে থাকেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেডে সমাবেশের কথা ঘোষণা করেছেন। বিজেপি কালবিলম্ব না করে মমতার ঘোষণার পরই মোদীর ব্রিগেডের কথা ঘোষণা করা হয়। সেই নিরিখেই চারটি রথ বেরিয়ে বাংলার বুকে প্রচার চালাবে। প্রতি তিন বিধানসভায় একটা করে সভা হবে। তারপর বাংলার জেলা থেকে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হবে নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশে আসার জন্য। দিলীপ ঘোষ বলেন, বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশ আগামী ২৩শে জানুয়ারি ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
[আরও পড়ুন: 'একুশে' হারিয়েছেন বাবা-মাকে, অসহায় ছেলেকে আর্থিক সাহায্য ও চাকরির আশ্বাস অনুব্রতর]