'কলকাতা ছাড়ার আগে মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল সুদীপ্ত সেনের'
এদিন অরবিন্দ সাংবাদিকদের জানান, কলকাতা ছাড়ার আগে ২০১৩ সালের ৫ এপ্রিল সুদীপ্ত সেন তাঁকে নিজাম প্যালেস নিয়ে যেতে। সেখানে যাওয়ার পর মুকুল রায়ের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ বৈঠক হয় সুদীপ্ত সেনের। বৈঠক শেষে ফের মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে ফিরে যান তিনি। দুদিন পর মিডল্যান্ড পার্কের অফিসে যান তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারি। বৈঠকে ছিলেন অরিন্দম দাসও। প্রায় এক ঘন্টা বৈঠক হয়। এর পরের দিনই সুদীপ্ত সেন বলেন 'কাজ আছে, কলকাতার বাইরে যেতে হবে। তুমিও আমার সঙ্গে যাবে।' অরবিন্দের কথায় সুদীপ্ত সেনের কথা মতো তিনি যান। তবে সুদীপ্ত সেন যে গা ঢাকা দেওয়ার জন্য কলকাতা ছাড়ছেন তা জানতেন না তিনি।
ষড়যন্ত্রকারীরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে, অভিযোগ সারদা কর্তার গাড়ির চালক অরবিন্দের
এর পাশাপাশি অরিন্দম এও অভিযোগ করেন, "সমস্ত ষড়যন্ত্রকারীরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে।" অরবিন্দম বলেন তিনি যা যা জানতেন সবকিছুই সিবিআইকেও জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে অরবিন্দর এই ধরণের মন্তব্যে বেশ অস্বস্তিতে তৃণমূল শিবির। অরবিন্দের দাবিতে সরাসরি নাম জড়িয়েছে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারির। এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া নেওযার জন্য মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারা গেলেও শুভেন্দু অধিকারি, মিথ্যা তথ্য দেওয়ার জন্য অরবিন্দ সিং চৌহানের নামে মানহানির মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে অরবিন্দের এই বিস্ফোরক মন্তব্যে আরও কিছুটা অক্সিজেন পেলেম বিরোধীরা। বিরোধীদের দাবি, মুকুল রায় যে এ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা তো আগে থেকেই বলা হচ্ছে তাদের পক্ষ থেকে। অরবিন্দের কথায় এবার তার প্রমাণও মিলল।