২ দিনের মধ্যেই বালিতে যুবতীর মুণ্ডু উদ্ধারের ঘটনার কিনারা! সূত্র দিলেন এক বৃদ্ধা
যুবতীর কাটা মুণ্ডু উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল বালি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় যুবতীর স্বামী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
যুবতীর কাটা মুণ্ডু উদ্ধারের ঘটনার কিনারা করল বালি থানার পুলিশ। এই ঘটনায় যুবতীর স্বামী-সহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে এই খুন। ওই মহিলার নাম সোনি রজন বলে জানা গিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজে এই খুনের কিনারা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বালির জেটিয়া ঘাটে প্রথমে একটি ব্যাগ দেখে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে, ব্যাগখুলে যুবতীর কাটা মুণ্ডু উদ্ধার হয়। সেই সময় থেকে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। খতিয়ে দেখা শুরু হয় এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ। দেখায় যায় একটি রিক্সা করে জেটিয়া ঘাটের দিকে কিছু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। পুলিশ ওই রিক্সাচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে এক ট্যাক্সিচালকের খোঁজ পায়। সেই ট্যাক্সিচালককে শনাক্ত করার পর পুলিশ জানতে পারে তিন ব্যক্তির কথা। স্থানীয় এক বৃদ্ধাও তিন ব্যক্তির কথা জানান।
এরই মধ্যে পুলিশ জানতে পারে গণেশ চ্যাটার্জি লেনের বাসিন্দা উপেন্দ্র রজক স্ত্রী সোনি রজন নিখোঁজ বলে থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করেছেন। স্ত্রীর ছবি সঙ্গে জেটিয়া ঘাট থেকে পাওয়া কাটা মাথার ছবিও মিলে যায়।
এরপর পুলিশ হাওড়ার মল্লিক ফটকে যুবতীর শ্বশুর বাড়িতে পৌঁছে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর স্বামী উপেন্দ্র রজকের কথা অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দিলাবর খান ও শাকিল আহমেদকে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে সুপারি দিয়েছিলেন। পরে ওই দুজনকেও গ্রেফতার করা হয়।