শোভন-বৈশাখী যায় যাক, দেবশ্রীকে চাই! জয়ের মন্তব্য শুনে পাল্টা যা বললেন বৈশাখী
জয় বললেন, দেবশ্রীকে চাই, শোভন-বৈশাখী যায় যাক। তাঁর এই মন্তব্যের পরই পাল্টা আক্রমণের রাস্তা ধরলেন বৈশাখী।
তৃণমূল ছেড়ে যেদিন গেরুয়া পতাকা হাতে নিতে ছুটেছিলেন দিল্লির দরবারে, সেদিনও শোভন-বৈশাখীর গলার কাঁটা হয়ে উঠেছিলেন দেবশ্রী রায়। তৃণমূলের রায়দিঘির বিধায়ক দেবশ্রী রায়কে নিয়ে অস্বস্তি দূর হচ্ছে না শোভন-বৈশাখীর। জয় বললেন, দেবশ্রীকে চাই, শোভন-বৈশাখী যায় যাক। তাঁর এই মন্তব্যের পরই পাল্টা আক্রমণের রাস্তা ধরলেন বৈশাখী।
বৈশাখী বনাম দেবশ্রী, বিতর্কে জয়
বিজেপিতে যোগদানের দিন দেবশ্রী অন্য ঘরে বসেছিলেন। তারপর শোভনের আপত্তিতে দেবশ্রীর যোগদান আটকে যায়। তারপরও দেবশ্রীকে নিয়ে বিতর্ক থামেনি। তাঁকে কে নিয়ে গিয়েছিল বিজেপির দফতরে, তা নিয়ে যখন রাজ্য বিজেপিতে মারকাটারি চলছে, তখনই জয় বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদয় হল।
দেবশ্রীকে চাই, শোভন-বৈশাখী যায় যাক
তিনি বলে বসলেন, দেবশ্রীকে চাই দলে। কে বৈশাখী, রাজনীতিতে একেবারেই আনকোরা। আর দেবশ্রী রায় আমার প্রথম ছবির নায়িকা। বাংলার গ্ল্যামার কুইন। তাঁকে বাঙালির ঘরে ঘরে চেনে। তাই বৈশাখী যায় যাক, শোভন যায় যাক, কিন্তু দেবশ্রীকে চাই। বাংলা প্রেমের জায়গা, কিন্তু পরকীয়ার ঠাঁই নেই।
এমন হিরোর নায়িকা দেবশ্রী
জয়ের এই কথার প্রত্যুত্তরে বৈশাখী বলেন, যদিও সিনেমার এই অন্ধকার সময়ের খবর আমি খুব একটা রাখি না। তবে দেবশ্রী রায়কে আমি সুদক্ষ ও বলিষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবেই জানতাম। তিনিও যে এমন একজন হিরোর নায়িকা হয়েছিলেন জেনে অবাক হচ্ছি।
জয় বিজেপির আবর্জনা!
এরপরই জয়কে আবর্জনার সঙ্গে তুলনা করেন বৈশাখী। বলেন, আবর্জনা শুধু আস্তাকুঁড়ে থাকে না। আবর্জনা থাকে মানুষের মনে। জয়ের মনে আবর্জনার স্তূপ বলে মন্তব্য করেন বৈশাখী। তিনি তাই নিজের স্ত্রীর সম্বন্ধেও কুরুচিকর মন্তব্য করতে পিছপা হন না। তিনি অন্য মহিলাদের সম্বন্ধে তাই ভালো আর কি ভাবতে পারেন। তাঁকে পারভার্টেড মাইন্ড বলে কটাক্ষ করেন বৈশাখী।