'সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ', শপথ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতে বাবুল বললেন, আমি মর্মাহত
মঙ্গলবারই বাবুল সুপ্রিয়ের শপথ নেওয়ার সংক্রান্ত ফাইল পরিষদীয় দফতরে ফেরত পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর তা পাঠিয়ে রাজ্যপাল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আগে এই বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আর এরপরেই ফাইলে সই করবেন বলে
বাবুল সুপ্রিয় বিধায়ক হিসাবে শপথ নেওয়া নিয়েও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত! মঙ্গলবারই বাবুল সুপ্রিয়ের শপথ নেওয়ার সংক্রান্ত ফাইল পরিষদীয় দফতরে ফেরত পাঠিয়ে দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। আর তা পাঠিয়ে রাজ্যপাল স্পষ্ট জানিয়ে দেন, আগে এই বিষয়ে বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। আর এরপরেই ফাইলে সই করবেন বলে জানান তিনি।
যদিও বিধানসভা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই রাজ্যপালকে এই সংক্রান্ত সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে বলে দাবি। আর এই সংঘাতের আবহেই আটকে রয়েছে বাবুল সুপ্রিয়ের শপথ। আর তা আটকে যাওয়ার কারণে আশাহত বালিগঞ্জ বিধানসভার সদ্য এই বিধায়ক।
এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাবুল বলেন, আমি আশাহত। বাবা বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। আর সেই সফরে যাওয়ার আগেই শপথটা হয়ে গেলে ভালো হত বলে দাবি প্রাক্তন বিজেপি নেতার। তবে দ্রুত এই সমস্যা মিটে যাওয়াই ভালো বলে জানিয়ছেন তিনি। যদিও এই সংঘাতের আবহে বিধানসভা অধ্যক্ষে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় পালটা রাজ্যপালকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, শপথগ্রহণ করাতে সাংবিধানিকভাবে দায়বদ্ধ রাজ্যপাল। এই ব্যাপারে রাজ্যপাল কোনও শর্ত দিতে পারেন না বলেও দাবি করেছেন বিধানসভার অধ্যক্ষ। তবে সূত্রের খবর, নতুন করে ফের একবার শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করানোর জন্যে ফাইল পাঠানো হচ্ছে। নতুন তারিখ দিয়েই এই ফাইল রাজভবনে পাঠানো হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। খুব শিঘ্রই তা পাঠানো হচ্ছে বলে দাবি পরিষদীয় দফতরে । তবে সাক্ষর করা কিংবা না করা নিয়ে কিছু এখনও অবশ্য রাজভবনের তরফে কিছু জানানো হয়নি।
তবে এই সংঘাতকে ঘিরে শুরু হয়েছে জোর রাজনৈতিক চর্চা। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কার্যত বাবুলকে হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, বাবুল সুপ্রিয় আগে বিজেপিতে ছিলেন। একেবারে ঝামা ঘষে বেরিয়ে গিয়েছেন। গায়ে জ্বালা লেগেছে। আর তাই শপথ আটকানোর জন্যে সব চেষ্টা করা হচ্ছে বলে দাবি তৃণমূল নেতার।
তবে এই প্রসঙ্গে বামনেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, গত কয়েকদিন আগেই দুজন দুজনের বিরুদ্ধে ভালো কথা বলেছে। আজ আবার কি হল? তবে মুখ্যমন্ত্রী ফোন করলেই সব ঠিক হয়ে যাবে বলে কটাক্ষ বাম নেতার। বলে রাখা প্রয়োজন, এর আগে একাধিক বিষয়ে রাজ্যপাল-মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংঘাত দেখেছে বাংলার মানুষ। কখনও আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে সরব হয়েছেন তো আবার কখনও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও সরব হয়েছেন। কিন্তু কার্যত নজিরবিহীন সংঘাত এবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে।