‘কাটমানি’ শুনে ‘ধন্য’ বাবুল, তবু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নচিকেতা ‘ভণ্ড’ গায়ক
মত বদলে গেল মাত্র ২৪ ঘণ্টায়। ২৪ ঘণ্টা আগেই প্রশংসায় ধন্য ধন্য করে উঠেছিলেন যাঁরা, তাঁরাই সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন সঙ্গীতশিল্পী নতিকেতাকে। সমালোচনার মূলে সেই ‘কাটমানি’ গান।
মত বদলে গেল মাত্র ২৪ ঘণ্টায়। ২৪ ঘণ্টা আগেই প্রশংসায় ধন্য ধন্য করে উঠেছিলেন যাঁরা, তাঁরাই সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন সঙ্গীতশিল্পী নতিকেতাকে। সমালোচনার মূলে সেই 'কাটমানি' গান। যে নচিকেতাকে ২৪ ঘণ্টা আগে স্বাগত জানানো হয়েছিল দলে, সেই নচিতকেতাই হয়ে গেলেন 'ভণ্ড'। বাবুল সুপ্রিয়র তির্যক বাক্যবাণে বিদ্ধ হলেন নচিকেতা।
শনিবার সকালে নচিকেতার গান 'কাটমানি' নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে পোস্ট করপে ধন্য ধন্য করে ওঠেন বাবুল সুপ্রিয়। 'খেয়েছেন যাঁরা কাটমানি, দাদারা অথবা দিদিমণি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২১শে জুলাইয়ের শিল্পীর কণ্ঠে এমন গান, বিরোধী দল লুফে নেবে এটাই স্বাভাবিক। হলও তাই। বাবুল সুপ্রিয় ধন্য ধন্য করলেন, লকেট নচিদা স্বাগত জানালেন।
তখন সবাই ভাবতে শুরু করেছেন, শিবির বদলাতে চলেছেন নচিকেতা। অনেকে সমালোচনা শুরু করেছেন- সুযোগ বুঝেই পাল্টি খাচ্ছেন নচিকেতা। কিন্তু নচিকেতা বুঝিয়ে দিলেন এই গানে তিনি কোন রাজনৈতিক রং লাগতে চান না। নচিকেতা বলেন, রামকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মিষ্টান্নের দায়িত্ব তো আর রামকৃষ্ণের নয়। যে যা বোঝার বুঝবে।
এরপরই বাবুলের ফেসবুক থেকে উধাও হয়ে যায় নচিকেতার গান। বাবুল সুপ্রিয় বলেন, আমি শুধু গানটারই প্রশংসা করেছিলাম, কোনো রাজনৈতিক দলের নাম বলিনি। তাই প্রশ্নও নেই রাজনীতি খোঁজার। আর আমি রামকৃষ্ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের মিষ্টিও খেয়েছি, আর ভণ্ড গায়কের গানও শুনেছি। বড্ড বোকা বোকা কথা বলে নিজের সম্মানহানি করছো নচিদা। বাবুল আরও বলেন, আমাকে একজন গায়ক বলছো কেন, সোজাসাপ্তা বাবুল বলো না।