সিপিএমের দুর্গ এখন তৃণমূলের গড়ে পরিণত! চ্যালেঞ্জার বিজেপি, একনজরে উলুবেড়িয়া
প্রথম চার দফায় ১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এবার ২০১৯-এর লোকসভা যুদ্ধে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। এই দফায় বাংলায় সাতটি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। একঝলকে উলুবেড়িয়ার ভোট ইতিহাস।
প্রথম চার দফায় ১৮টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়ে গিয়েছে। এবার ২০১৯-এর লোকসভা যুদ্ধে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণের অপেক্ষা। এই দফায় বাংলায় সাতটি কেন্দ্রে ভোট হচ্ছে। একঝলকে হাওড়ার ভোট ইতিহাস। হাওড়া, উলুবেড়িয়া, শ্রীরামপুর, হুগলি, আরামবাগ, বনগাঁ ও বারাকপুরে ভোট হবে এই দফায়। তার আগে ফিরে দেখা উলুবেড়িয়ার ভোট-ইতিহাস।
উলুবেড়িয়া
বাংলার ৪২ লোকসভার কেন্দ্রের মধ্যে ২৬ নম্বর লোকসভা কেন্দ্র হল এই উলুবেড়িয়া। সিপিএমের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত ছিল এই কেন্দ্র। ১৯৭১ সাল থেকে শুরু করে পুরো বাম আমলে টানা ৩৮ বছর এই কেন্দ্র ছিল সিপিএমের দখলে। তবে রাজ্যে পরিবর্তনের সূচনা লগ্ন থেকেই, কেন্দ্রটি তৃণমূলের দখলে।
কোন কোন বিধানসভা
উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র হল- উলুবেড়িয়া পূর্ব, উলুবেড়িয়া উত্তর, উলুবেড়িয়া দক্ষিণ, শ্যামপুর, বাগনান, আমতা, উদয়নারায়ণপুর। এই সাতটি কেন্দ্রই হাওড়া জেলার অধীন।
১৯৫২ থেকে ১৯৬৭
১৯৫২ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত উলুবেড়িয়া লোকসভা কেন্দ্রে মোট চারটি নির্বাচন হয়েছে। প্রথম নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। সাসংদ হয়েছিলেন সত্যবান রায়। দ্বিতীয়বার ফরওয়ার্ড ব্লক জয়ী হয়। সাংসদ হন অরবিন্দ ঘোষাল। এর পরের দুই নির্বাচনে জয়ী হল কংগ্রেস। সাংসদ হন যথাক্রমে পূর্ণেন্দু খাঁ ও জে কে মণ্ডল।
১৯৭১ থেকে ২০০৪
১৯৭১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত টানা ১০টি নির্বাচন এই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিল সিপিএম। প্রথম দুবার সাংসদ হন শ্যামাপ্রসন্ন ভট্টাচার্য। পরে টানা আটবার সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন হান্নান মোল্লা। ১৯৮০ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত তিনিই ছিলেন উলুবেড়িয়ার সাংসদ। যা এক অনন্য় রেকর্ড।
২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮
২০০৯ সালে প্রথম পরিবর্তন আসে উলুবেড়িয়ায়। হান্নান মোল্লাকে হারিয়ে সাংসদ নির্বাচিতি হন তৃণমূল কংগ্রেসের সুলতান আহমেদ। ২০১৪ সালেও তিনি এই আসনটি ধরে রাখতে সফল হন। কিন্তু তাঁর প্রয়াণে ফের এই আসনটি ফাঁকা হয় ২০১৮ সালে। সুলতান-জায়া সাজদা আহমেদ ২০১৮ সালে সংসদে যান উলুবেড়িয়ায় জিতে।
২০১৪ সালের ফল
২০১৪-র নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সুলতান আহমেদ জয়ী হন। তিনি ৫,৭০,৭৮৫ ভোট পান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিপিএমের সাবিরউদ্দিন মোল্লা। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৩,৬৯,৫৬৩। তৃতীয় স্থানে উঠে আসা বিজেপির রঞ্জিত কিশোর মোহান্তি ভোট পান ১,৩৭,১৩৭ ভোট। আর কংগ্রেসের অসিত মিত্র পান ৬৭,৮২৬ ভোট।
২০১৮ সালের উপনির্বাচনের ফল
২০১৮-র উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের সাজদা আহমেদ বিপুল জয় পান। তিনি ৭,৬৭,৫৫৬ ভোট পান। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিজেপির অনুপম মল্লিক। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ২,৯৩,০৪৬। তৃতীয় স্থানে নেমে যায় সিপিএম। সিপিএমের সাবিরউদ্দিন আহমেদ ভোট পান ১,৩৮,৮৯২ ভোট। আর কংগ্রেসের মদ্দাসুর হোসেন ওয়ারসি পান মাত্র ২৩,১০৯ ভোট।
২০১৯-এ কারা প্রার্থী
তৃণমূল কংগ্রেস এবার সিটিং এমপি সাজদা আহমেদকেই প্রার্থী করেছে। বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়, সিপিএম প্রার্থী করেছে মাকসুদা খাতুনকে, কংগ্রেসের প্রার্থী সোমা রানিশ্রী রায়।
[আরও পড়ুন:সিপিএম-কংগ্রেসের লড়াই অস্তাচলে, তৃণমূল বনাম বিজেপি যুদ্ধে ফিরে দেখা শ্রীরামপুর]
[আরও পড়ুন:লোকসভা নির্বাচনের সমস্ত লেটেস্ট ছবি দেখতে হলে ক্লিক করুন]