প্রথম দফার দ্বিতীয় পর্যায়ের পর যা প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজনৈতিক নেতারা
কলকাতা, ১১ এপ্রিল : এদিন রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার দ্বিতীয় পর্যায়ের ৩১টি আসনে ভোটগ্রহণ হল। এর মধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুরের ১৩ টি, বাঁকুড়ার ও বর্ধমানের ৯টি করে বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে।
[রাজ্যে প্রথম দফার দ্বিতীয় পর্যায়ের ভোটের Update]
এদিনের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেন সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র, কংগ্রেস নেতা মানস ভুঁইঞ্যা, বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, তৃণমূল নেতা মলয় ঘটক প্রমুখ। এর পাশাপাশি অভিনেতা সোহম চক্রবর্তীও বড়জোড়া থেকে ভোটে লড়েছেন।
প্রথম দফার প্রথম পর্যায়ের মতো দ্বিতীয় পর্যায়েও বিক্ষোভ ও অশান্তির ছবিই বারবার ধরা পড়েছে সংবাদমাধ্যমের কাছে। এই নিয়ে ঠিক কি বলছেন রাজনৈতিক নেতারা? আসুন জেনে নেওয়া যাক একঝলকে।
বিমান বসু
কেশপুরে ১৫০টি বুথ জুড়ে যা খুশি তাই করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। কেশপুর জুড়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে। বিধানসভা এলাকাগুলিতে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছিল ওঁরা।
এদিনের ভোটেও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিস্ক্রিয় ছিল। অনেক জায়গায় পোলিং এজেন্টদের বসতে দেওয়া হয়নি, নারায়ণগড়ে ২৩টি বুথ দখলের চেষ্টা, চন্দ্রকোণায় ২০ টি বুথ দখলের চেষ্টার খবর এসেছে। কমিশনে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি ।
অধীর চৌধুরী
দিদি আর মোদী মিলে এই বাংলাটাকে দখল করার চেষ্টা করছে। ছাপ্পা ভোট, দুষ্কৃতী, বাইকবাহিনী, বোমা, গুলি দিয়ে নির্বাচনকে এরা হাস্যকর করে তুলেছে।
মানস ভুঁইঞ্যা
নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনা একেবারে যাচ্ছেতাই। গোটা নির্বাচন কমিশন ঠিক যেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের কোলে ছোট্ট শিশু হয়ে ঘুমিয়ে রয়েছে।
সূর্যকান্ত মিশ্র
তৃণমূলের সন্ত্রাসের জবাব দিয়েছে মানুষ। কিছু জায়গায় গণ্ডগোলের খবর এসেছে। রাজ্য সরকারের উপর আমাদের কোনও ভরসা নেই। আর কমিশনও দৃঢ়তা দেখাতে ব্যর্থ। নিজে ময়দানে নেমেছি বলে তৃণমূলের রাগ হয়েছে। আর হতাশা থেকেই তৃণমূলের সন্ত্রাস চলেছে।
আবদুল মান্নান
নির্বাচন কমিশনের উপরে আস্থা হারাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।