এনসিআরবি-র রিপোর্টে বাদ পশ্চিমবঙ্গের নাম! ফের চরমে উঠল কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত
করোনা মোকাবিলা হোক বা সরকারি প্রকল্পের বাস্তবায়ন কেন্দ্র রাজ্য সংঘাত এখন নতুন কিছু নয়। এদিকে এবার অপরাধের তথ্যপ্রকাশ নিয়েও শুরু হল পারস্পরিক দোষারোপের পালা। যা নিয়ে তুমল বিতর্ক রাজ্য-রাজনীতিতে। অভিযোগ সদ্য প্রকাশিত ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরো বা এনসিআরবি-র রিপোর্ট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের নাম।
এনসিআরবি-র রিপোর্টে বাদ পশ্চিমবঙ্গের নাম
সম্প্রতি ২০১৯ সালের গোটা দেশের অপরাধের তথ্যপঞ্জী প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশান্যাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর বা এনসিআরবি। ওই রিপোর্টেই বলা হয়েছে ২০১৮-১৯ সালে সংগঠিত অপরাধের ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গের কোনও তথ্যই নাকি পাওয়া যায়নি। তাই ২০১৮ সালের পুরনো তথ্য দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের এই আচরণে বিস্মিত রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকেরা
কেন্দ্রে এই দাবিতেই তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে রাজ্য। রাজ্য প্রশাসনের দাবি দু-মাস আগেই এই সংক্রান্ত যাবতীয় রিপোর্ট পাঠানো হয় কেন্দ্রের হাতে। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সেগুলি দিল্লির সংশ্লিষ্ট দফতরে জমাও করা হয়। কিন্তু কেন তা নতুন রিপোর্টে ছাপা হল না তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করতে দেখা গেছে রাজ্য সরকারের আধিকারিকদের।
ভোটের আগে রাজ্যকে চাপে রাখতেই কি কেন্দ্রের কারসাজি?
এদিকে এই চাপানৌতরের ফলে দেশে অপরাধের যে ছবি প্রকাশ পেয়েছে তা থেকে কার্যত বাদ গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। অন্যদিকে রাজ্য প্রশাসনের একাংশের মত ২০১৮ সালের মতে ২০১৯ সালে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। কিন্তু কোনও এক 'অজ্ঞাতকারণে' তা প্রকাশ পেল। এমতাবস্থায় রাজ্যের শাসক দল তথা তৃণমূল শিবিরের প্রশ্ন আগামী বছর রাজ্যের বিধানসবা ভোটের কথা মাথায় রেখে রাজ্যকে চাপে রাখতেই কি পুরনো তথ্য প্রকাশের পথে হাঁটল কেন্দ্র?
৭ই অগাস্টের মধ্যেই পাঠানো হয় প্রয়োজনীয় নথি
প্রসঙ্গত উল্লেখ কয়েক মাস আগেই এনসিআরবি ২০১৯ সালের আত্মহত্যা ও দুর্ঘটনার বিস্তারিত তথ্যপঞ্জী প্রকাশ করেছিল।সেখানে অবশ্য পশ্চিমবঙ্গের তথ্যাও ঠাঁই পেয়েছিল। রাজ্য প্রশাসনের বক্তব্য সঠিক সময়েই নির্দিষ্ট তথ্য এনসিআরবি-র হাতে গিয়েছিল। তারপর সেই নথির সপক্ষে বেশ কিছু ব্যাখ্যাও চাওয়া হয় এনসিআরবির তরফে। গত ৭ই অগাস্ট সেই ব্যাখাও পাঠানো হয় রাজ্যের তরফে। এই লেদেন সংক্রান্ত তথ্য রাজ্য পুলিশ ডাইরেক্টরেটে রয়েছে বলে কলকাতা পুলিশের এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক জানান। কিন্তু তারপরেও কেন এনসিআরবি-র রিপোর্ট থেকে পশ্চিমবঙ্গের নাম বাদ গেল তার সদুত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই।