কত লোকের আরটিপিসিআর সম্ভব? হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে ছোট করে মেলা করার বার্তা মমতার
কলকাতা হাইকোর্টের যে নির্দেশ আছে তা মানতে হবে। আরটিপিসিআর করে তবে যাওয়া যাবে গঙ্গাসাগরে। ফলে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। বাবুঘাটে মেলা প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
কলকাতা হাইকোর্টের যে নির্দেশ আছে তা মানতে হবে। আরটিপিসিআর করে তবে যাওয়া যাবে গঙ্গাসাগরে। ফলে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। বাবুঘাটে মেলা প্রাঙ্গনে দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তাঁর দাবি, এই বছর বড় করে মেলা করার কোনও প্রয়োজন নেই। ছোট করেই মেলা করার জন্যে উদ্যোক্তাদের বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে রাজ্য কেউ সংক্রমণের হাত থেকে বাদ পড়ছেন না। এই সময়ে একেবারেই হুইহুল্লর করার সময় নয় বলেও বার্তা রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের। তবে একদিকে কড়া বার্তা দিলেও অন্যদিকে কার্যত মুখ্যমন্ত্রীর কথাতেই ধরা পড়ল সংশয়ও।
আজ বুধবার মেলার উদ্বোধনে গিয়ে মমতা বলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষের ভিড় হয়। অনেক মানুষ আসেন বলে দাবি করেন তিনি। বলেন ২০ থেকে ৩০ হাজার মানুষ আসেন। ফলে এই মেলা সামলানোটা রীতিমত চ্যালেঞ্জের বলেও দাবি মমতার। তবে এদিন ফের একবার কুম্ভমেলার কথা তুলে ধরেন।
বলেন, কুম্ভমেলার যোগাযোগ সড়কপথে রয়েছে। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা জল পেরিয়ে যেতে হয়। রীতিমত নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জের বলে মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে বলেন, বিভিন্ন রাজ্য থেকে বিমানে, সড়ক পথে কিংবা রেল পথে মানুষ আসছেন। কীভাবে এত লোকের আরটিপিসিআর টেস্ট করা সম্ভব? তা নিয়েও কার্যত এদিন সংশয় প্রকাশ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান।
আর এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, তাহলে কি মুখ্যমন্ত্রীও মেনে নিচ্ছেন এই মেলা সামলানো সম্ভব নয়? ইতিমধ্যে মেলা প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, রাজ্য প্রশাসন গঙ্গাসাগর মেলা করে রাজ্যের মানুষকে বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। আর সেখানে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
যদিও এদিন মেলা কমিটিকে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে চলার নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে যে সমস্ত মানুষ ভিন রাজ্য থেকে আসছেন তাঁদের উদ্দেশ্যেও মমতার কড়া বার্তা, দুটি করে মাস্ক পড়তে হবে সবাই। যেখানে সেখানে থুতু ফেলা চলবে না। কারুর কাশি হচ্ছে দেখলেই তাঁকে আরটিপিসিআর করানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাঁর কথায়, পরিস্থিতি খুব কঠিন, সবাই কোর্টের নির্দেশ মেনে চলুন। একই সঙ্গে জীবনকে বাজি রেখেও যে সমস্ত সরকারি আধিকারিক থেকে পুলিশ অফিসার কাজ করে চলেছেন তাঁদেরকে ওই মঞ্চ থেকেই ধন্যবাদ জানান মমতা।
অন্যদিকে, গঙ্গাসাগরের পুণ্যার্থীদের জন্য রাজ্য সরকার ৫ লক্ষ টাকার বিমার ব্যবস্থা করেছে। তাও একবার তুলে ধরেন তিনি। বলেন, আমি নিজে গঙ্গাসাগর ঘুরে এসেছি। সব কাজ করে দেওয়া হয়েছে বলেও আরও একবার দাবি করেন প্রশাসনিক প্রধান।