বঙ্গ বিজেপিতে মুখ্যমন্ত্রী-মুখের অভাব! একুশের আগে জল্পনা বাড়ালেন সাংসদ অর্জুন সিং
বিজেপিতে মুখ্যমন্ত্রী-মুখের অভাব অনুভব করেন অর্জুন! একুশের আগে বাড়ল জল্পনা
মুকুল রায়কে নিয়ে জল্পনার মাধেই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলে বিতর্ক তৈরি করেছিলেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। বিগত লোকসভা নির্বাচনের আগে দিদি মমতার শিবির ত্যাগ করে তিনি বিজেপির পতাকা হাত তুলে নিয়েছিলেন। সেই তিনিই হঠাৎ বিজেপিতে বেঁকে বসায় সাময়িক জল্পনা তৈরি হয়েছিল। ফের অর্জুন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্যে বঙ্গ রাজনীতিতে ঝড় তুললেন।
২০২১-এর নির্বাচনে কোথায় ঘাটতি বিজপির
সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে তিনি রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বার্তা দেন। আসন্ন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে দলের কোথায় ঘাটতি তা ধরিয়ে দেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি তোপ দাগেন প্রাক্তন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
বিজেপিতে মুখ্যমন্ত্রী মুখ প্রসঙ্গে অর্জুন সিং
অর্জুন সিং বলেন, বিজেপিতে মুখ্যমন্ত্রী মুখ দরকার। তাহলে ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন জয়ের আরও ভাল সুযোগ তৈরি হবে। বিজেপি একটি জাতীয় দল। সেখানে প্রধানমন্ত্রী দলের মুখ, সেটা ঠি্কই রয়েছে। কিন্তু রাজ্যস্তরে লড়াইয়ের জন্য রাজ্যেও একজন মুখ হয়ে ওঠা দরকার।
ব্যক্তিগত মত জানালেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন
অর্জুন বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করি যে, একজন মুখ্যমন্ত্রী মুখ রাজ্যে দলের সম্ভাবনাকে আরও বাড়িয়ে দেবে। তাই দল যদি রাজ্যে একজনকে মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে এগোয় আরও ভালো ফল আশা করাই যায়। যদি এটা সম্পূর্ণঁ দলের শীর্ষ নেতৃত্বের ব্যাপার। সেটা দলই ঠিক করবে। আমি শুধু আমার ব্যক্তিগত মত শেয়ার করলাম।
দিল্লির বৈঠকে বিদ্রোহ প্রসঙ্গে অর্জুন
সম্প্রতি শোনা গিয়েছিল, অর্জুন সিং দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সরব হন দিল্লির বৈঠকে। দু-একজনের অঙ্গুলিহেলনে দল চলে বলেও অভিযোগ করেছিলেন বলে শোনা যায়। তা নিয়ে বিতর্ক চরমে উঠেছিল। এ প্রসঙ্গে অর্জুন স্পষ্ট করে দিলেন, কোনও বিতর্ক হয়নি, মতান্তরও হয়নি। সবকিছুই রটনা করা হয়েছিল।
প্রশান্ত কিশোরের হাত দেখছেন অর্জুন
এই ঘটনার পিছনে তৃণমূলের ভোটকৌশলী প্রশান্ত কিশোরের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ করেন অর্জুন সিং। বিজেপি জেলা নেতৃবৃন্দ, সাংসদ ও পর্যবেক্ষকদের মধ্যে একটি বৈঠক হয়েছিল এবং নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছিল সেই বৈঠকে। অসন্তুষ্টি বা মতবিরোধ ছিল না। কারণ ওটা শুধু আলোচনা ছিল, সিদ্ধান্ত ছিল না।
নোংরা রাজনীতির উদাহরণ অর্জুনের
অর্জুন সিং তাঁর পুরনো দলের দিকে আঙুল তুলে বলেন, কিছুর মিডিয়াকে ব্যবহার করে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করিয়েছিল তৃণমূল। এটি ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের নোংরা রাজনীতির উদাহরণ। এর পেছনে থাকা মিডিয়া সংস্থাকে আমরা ইতিমধ্যে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছি।
মুকুল রায়ের দিল্লি ছাড়া প্রসঙ্গে
বৈঠক চলাকালীন হঠাৎই মুকুল রায়ের দিল্লি ছেড়ে চলে আসা প্রসঙ্গেও মুখ খোলেন অর্জুন সিং। তিনি বলেন, মুকুল রায়ের রেটিনায় একটি ইঞ্জেকশন দেওয়া দরকার ছিল এবং তিনি কলকাতার দিশা হাসপাতালে এর জন্য চিকিৎসা নিচ্ছেন। তিনি চোখের চিকিৎসার জন্যই কলকাতায় ফিরে এসেছিলেন। এর মধ্যে অন্য কোনও কারণ ছিল না।
দিলীপ-মুকুলের অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রসঙ্গে
তিনি বলেন, দিলীপ ঘোষ এবং মুকুল রায়ের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিরোধের যে গল্প ফাঁদা হয়েছিল, তা সর্বেব মিথ্যা। তাঁদের মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। বিজেপি কোনও আঞ্চলিক দল নয় যে, কোনও নেতা তদ্বির করে পছন্দের পদ পেয়ে যাবেন। এটি একটি জাতীয় পার্টি। এখানে তদ্বির কাজ করে না। দলীয় কর্মী ও নেতাদের মধ্যে প্রচুর আলোচনার পরে বিজেপিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রীর কথা কেউ শোনে না! সরকার পুলিশের আত্মবিশ্বাস নষ্ট করেছে, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ