প্রশান্ত কিশোরের 'পরামর্শে' প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে অনুব্রত! ২১-এর আগে জল্পনা তুঙ্গে
শুধু স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিরোধী নেতারাই নন, ভোটের আগে প্রশান্ত কিশোরের (prashnat kishor) নজরে বসে যাওয়া প্রাক্তন তৃণমূলীরাও। তাও আবার অনুব্রত মণ্ডলের (anubrata mondal) গড় বলে পরিচিত বীরভূমে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন বিধায়
শুধু স্বচ্ছ ভাবমূর্তির বিরোধী নেতারাই নন, ভোটের আগে প্রশান্ত কিশোরের (prashnat kishor) নজরে বসে যাওয়া প্রাক্তন তৃণমূলীরাও। তাও আবার অনুব্রত মণ্ডলের (anubrata mondal) গড় বলে পরিচিত বীরভূমে। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে কথা বলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। যদিও প্রাক্তন ওই বিধায়ক জানিয়েছেন তিনি আর রাজনীতিতে আসবেন না।
ম্যাথুর হাতে ভাইপোর টাকা! কাকে দিয়ে কীভাবে সারদা কাণ্ডে সুদীপ্ত সেনের চিঠি, বিস্ফোরক শুভেন্দু
দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় বহিষ্কার করা হয়েছিল ওই বিধায়ককে
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারি। প্রায় ছয়বছর আগের ঘটনা। সিউড়ি পুরসভায় দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় বহিষ্কার করা হয়েছিল তৎকালীন সিউড়ির বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষকে। সেই সময় স্বপনকান্তি ঘোষ সিউড়ি পুরসভার বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ তুলেছিলেন। পাশাপাশি এর প্রতিকারে বিধানসভায় ধর্নাতেও বসেছিলেন। ধর্না ছেড়ে আলোচনায় বসার আবেদন জানানো হয়েছিল তৃণমূলের তরফ থেকে। কিন্তু তা না করায় বহিষ্কার করা হয় স্বপনকান্তি ঘোষকে। সেই সময় তৃণমূলের এই বিদ্রোহী বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র এবং বিজেপি বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য।
বিপরীত মেরুতে ছিলেন অনুব্রত ও স্বপনকান্তি
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য জেলার রাজনীতিতে বিপরীত মেরুতে ছিলেন বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এবং তৎকালীন সিউড়ির বিধায়ক স্বপনকান্তি ঘোষ। ২০১১ সালে সিউড়ি থেকে জয়ী এই বিধায়কের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের বিবাদ লেগেই থাকতো। কিন্তু দলীয় রাজনীতি থেকে সরে যাওয়ার পরে জেলা তৃণমূল সভাপতির বিরুদ্ধে তাঁকে মুখ খুলতে শোনা যায়নি।
প্রাক্তন বিধায়ককে নিয়ে খোঁজ খবর প্রশান্ত কিশোরের
জায়গায় জায়গায় স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতা খুঁজে বেড়াচ্ছে প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা। সেইরকমই খোঁজ করতে গিয়ে স্বপনকান্তি ঘোষের খোঁজ মেলে বলে সূত্রের খবর। প্রাক্তন ওই বিধায়কের ঘনিষ্ঠদের সূত্রে খবর, প্রশান্ত কিশোর তাঁকে সরাসরি ফোন করে সিউড়ি থেকে ভোটের লড়াইতে নামতে অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে সেই প্রস্তাব তিনি খারিজ করে দেন। সিউড়ির ভোট চিত্রও তৃণমূলের পক্ষে নেই। ২০১৬-তে তৃণমূল সিউড়িতে জয়ী হলেও, ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এই আসন থেকে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। সূত্রের খবর অনুযায়ী, খোঁজ করতে গিয়ে প্রশান্ত কিশোর দেখেছেন, এলাকায় যেমন স্বচ্ছ ভাবমূর্তি রয়েছে এই নেতার, ঠিক তেমনই এলাকায় অনের অনুগতও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বপনকান্তি ঘোষকে প্রার্থী করতে পারলে তৃণমূল প্রথম থেকেই এগিয়ে থাকতে পারবে।
স্বপনকান্তি ঘোষের বাড়িতে অনুব্রত মণ্ডল
অনুরোধ করে ব্যর্থ হয়েছেন প্রশান্ত কিশোর। কিন্তু যার সঙ্গে বিবাদের জেরে ঘাসফুরের রাজনীতির বাইরে স্বপনকান্তি ঘোষ, সেই অনুব্রত মণ্ডল এবার হাজির বাড়িতে। সঙ্গে জেলার সহ সভাপতি অভিজিৎ সিনহা। রবিবার মহম্মদবাজারে দলীয় কর্মসূচি সেরে এই দুই নেতা পৌঁছে যান প্যাটেলনগরে প্রাক্তন বিধায়কের বাড়িতে। বেশ কিছুক্ষণ কথা হয়। সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রাক্তন ওই বিধায়ককে দলে ফিরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি প্রার্থী করার প্রস্তাবও দেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে স্বপনকান্তি ঘোষ সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি বলেই জানা গিয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, প্রাক্তন বিধায়ক ঘনিষ্ঠমহলে বলেছেন, তিনি পারিবারিক ব্যবসা নিয়ে আগের মতোই থাকতে চান। তবে বীরভূম জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই সাক্ষাৎকারকে সৌজন্য সাক্ষাৎকার বলে দাবি করা হয়েছে।