বিজেপি ছাড়তে চলেছেন অনুপম! ভোটের মাঝেই অনুব্রতর ‘প্রস্তাব’-এ জল্পনা তুঙ্গে
তবে কি ভোট মিটলেই অনুপম হাজরা ফের তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন? রাজ্যে চতুর্থ দফা ভোটের দিনেই তেমন সম্ভাবনাই উঁকি দিল বীরভূম রাজনীতিতে।
তবে কি ভোট মিটলেই অনুপম হাজরা ফের তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন? রাজ্যে চতুর্থ দফা ভোটের দিনেই তেমন সম্ভাবনাই উঁকি দিল বীরভূম রাজনীতিতে। ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অনুপম হাজরা। সেই তিনিই গলায় বিজেপির উত্তরীয় ঝুলিয়ে হাজির তৃণমূলের পার্টি অফিসে।
প্রশ্নে অনুপম
শুধু অনুব্রতর ‘দরজা'য় হাজির হয়েই ক্ষান্ত নন তিনি। ‘কাকা' অনুব্রত মণ্ডলের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে আশীর্বাদ যেমন নিলেন, তেমনই কাকার অনুরোধে ভুরিভোজও করলেন কব্জি ডুবিয়ে। তারপরই প্রশ্ন উঠে পড়েছে ভোট চলাকালীন যাদবপুরের বিজেপি প্রার্থীর অবস্থান নিয়ে। একাংশের দাবি, ভোটপরবর্তী লাইন পরিষ্কার রাখতেই কৌশলী পদক্ষেপ করলেন অনুপম।
অনুব্রত বার্তা
আর সেই জল্পনা আরও বেড়ে গেল অনুপমের হঠাৎ আগমন প্রসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের বক্তব্যের পর। রাখঢাক না করেই অনুব্রত মণ্ডল বলেই ফেললেন, ২৩ মের পর চলে আয়। দলে নিয়ে নেব। এখানেই শেষ নয় আশ্বাসের। দিদিকে বলে তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করে দেওয়ার কথাও বলেন অনুব্রত।
অনুপম বয়ান
অনুব্রত মণ্ডল এই বার্তা দিলেও অনুপম কিন্তু এই সাক্ষাৎকে নিতান্তই সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেছেন, আমি কাকার কাছে এসেছি। ব্যক্তিগত সম্পর্ক আর রাজনৈতিক সম্পর্ক মিলিয়ে ফেলা উচিত নয়। কাকার কাছে এসেছি, আশীর্বাদ নিয়েছি। সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডল মাতৃহারা হয়েছেন, তাই এই সাক্ষাতে কোনও রাজনৈতিক গন্ধ নেই।
বোকামি করল
অনুপমকে পাশে নিয়েই অনুব্রত মণ্ডল বলেন, বোকামি করেছে। ওকেই আমরা প্রার্থী করতাম। ও আসতে চাইলে, আবার দলে নেব। এরপরই অনুপমের দলবদলের জল্পনা তৈরি হয়। যদিও এই সাক্ষাতকে ভালো চোখে নেয়নি বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। দিলীপ ঘোষ অনুপমের এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন।
বিজেপির ব্যবস্থা
তিনি বলেন, ভোটের মধ্যে এই কাজ করা উচিত হয়নি অনুপমের। এর ফলে সাধারণকর্মীদের মনোবল ধাক্কা খাবে। এরপরই অনুপমকে শোকজের সিদ্ধান্ত নেয় বিজেপি নেতৃত্ব। শীঘ্রই তাঁকে শো-কজ লেটার পাঠানো হবে। এদিন রাজ্য বিজেপি পার্টি অফিসে অনুপমের কড়া সমালোচনা করেন দিলীপ ঘোষ।
বিরূপ অনুপম
উল্লেখ্য, অনুপম কয়েকদিন আগেই যাদবপুরের বিজেপি কর্মীদের নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেন। তাঁদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন। এদিকে অনুপমের এই সিদ্ধান্তে রাজনৈতিক মহলের একাংশ মনে করছে, এদিন অনুপম বুঝিয়েই দিলেন যাদবপুরে তাঁর কোনও আশা নেই। তাই তিনি ভবিষ্যতের রাস্তা পরিষ্কার করে রাখছেন।