চড়াম চড়াম ঢাক আর নয়, এবার ‘কেষ্ট’-লীলায় খোল-করতাল সহযোগে নাম-সংকীর্তন
কৃষ্ণ নামে নদিয়াকে নাচিয়ে ছেড়েছিলেন চৈতন্যদেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয়পাত্র অনুব্রত এবার ‘কেষ্ট’ হয়ে খোল-করতালের ‘রাজনীতি’তে নামলেন।
চড়াম চড়াম ঢাক নয়, এবার খোল-করতাল বাজাবেন অনুব্রত মণ্ডল। চড়াম চড়াম ঢাকের পালা শেষ, এবার খোল-করতাল বাজিয়ে 'বীর-ভূমি' মাতোয়ারা করে দিতে চান তিনি। লোকসভা ভোটের আগে নতুন পন্থায় বাজিমাত করার পরিকল্পনা নিয়েছেন কেষ্ট। কৃষ্ণ নামে নদিয়াকে নাচিয়ে ছেড়েছিলেন চৈতন্যদেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয়পাত্র অনুব্রত এবার 'কেষ্ট' হয়ে খোল-করতালের 'রাজনীতি'তে নামলেন।
বীরভূম জেলার কীর্তন শিল্পীদের খোল-করতাল বিতরণ করার পরিকল্পনা নিয়েছেন অনুব্রত। নীল-সাদা রঙের খোল করতাল বিলির মধ্যে বিজেপি রাজনীতির গন্ধ খুঁজে পাচ্ছে। বিজেপি মনে করছে লোকশিল্পীদের পাশে দাঁড়ানোর নামে রাজনীতির তাস ফেলতে চাইছে। কেননা এর আগেও বিভিন্ন সম্প্রদায়কে নিয়ে সম্মেলন করে বিজেপির পালের হাওয়া কেড়ে নিয়েছেন অনুব্রত। এবার নাম-সংকীর্তনে মাধ্যমে অনুব্রত বৈষ্ণব সম্প্রদায়কে নিজের দিকে টেনে নেবেন।
[আরও পড়ুন:সরকারি কর্মীদের অর্ধদিবস ছুটিও মিলবে না, নবান্নে দাঁড়িয়ে সাফ জানালেন মমতা ]
এর আগে বাহ্মণ সম্মেলন করেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। তারপর সংখ্যালঘু সম্মেলন ও আদিবাসী সম্মেলন করেও চমকে দিয়েছিল। এবার তাঁর নজরে বৈষ্ণব সম্প্রদায়। তাঁদের নাম সংকীর্তনকেই বীর-ভূমের ভোটে হাতিয়ার করতে চাইছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। সংকীর্তনের দলগুলিকে দেওয়ার জন্য ৬ হাজার খোল-করতাল অর্ডার দেওয়া হয়েছে। এই খোলের রঙ হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রিয় নীল-সাদা।
[আরও পড়ুন: বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা! ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার রাজ্য সরকারের দুই কর্মী]
তৃণমূল কংগ্রেসের বৈঠকেই কীর্তন শিল্পীদের সাহায্যের প্রসঙ্গ ওঠে। সচরাচর তাঁরা কোনও সাহায্য পান না বলে অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগের পরই ব্লক সভাপতিদের নির্দেশ দেওয়া হয় কীর্তন দলের নাম জোগাড় করতে। সেইমতোই ৬ হাজার খোলের অর্ডার দেএয়া হয়েছে। অনুব্রত মণ্ডলের এই পরিকল্পনার সমালোচনা করে বিজেপি নেতৃত্বের ব্যাখ্যা, এই ঘটনাই প্রমাণ করে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা হারাচ্ছে তৃণমূল। তৃণমূলই ধর্ম নিয়ে রাজনীতি করছে।
[আরও পড়ুন: রাহুলের ডাকে সাড়া দিলেন না মমতা, মোদী বিরোধিতায় তবু উত্তাল হবে গোটা দেশ]