‘একুশে’ হারিয়েছেন বাবা-মাকে, অসহায় ছেলেকে আর্থিক সাহায্য ও চাকরির আশ্বাস অনুব্রতর
তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সভার দিন দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে বাবা-মাকে। একইসঙ্গে বাবা-মাকে হারিয়ে ‘অনাথ’ হয়ে পড়েছেন ছেলে। এই অবস্থায় ‘অনাথ’ ছেলের পাশে দাঁড়ালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অনুব্রত মণ্ডল।
তৃণমূলের একুশে জুলাইয়ের সভার দিন দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে বাবা-মাকে। একইসঙ্গে বাবা-মাকে হারিয়ে 'অনাথ' হয়ে পড়েছেন ছেলে। এই অবস্থায় 'অনাথ' ছেলের পাশে দাঁড়ালেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি চাকরির আশ্বাসও দিলেন। মুখ্যমন্ত্রীকে বলে তিনি চাকরির বন্দোবস্ত করে দেবেন বলে জানান অনুব্রত।
শনিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার দিনে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় বর্ধমানের রানিগঞ্জে মৃত্যু হয় দম্পতির। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় শেখ দিলদারের। জখম হন তাঁর স্ত্রী পিয়ারি খাতুন ও এক নাতনি রাজকুমারী। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মৃত্যু হয় পিয়ারি খাতুনের। মা-বাবাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন ছেলে।
এরপর আউশগ্রামে তাদের বাড়িতে যান অনুব্রত মণ্ডল। দেখা করেন পাশে থাকার আশ্বাস দেন মৃত দম্পতির ছেলেকে। সেখানেই তাঁকে আর্থিক সাহায্য করেন অনুব্রত মণ্ডল। চাকরির আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, বাবা-মাকে হারিয়েছে একসঙ্গে। ওর মনের অবস্থা আমরা বুঝি। আমরা সকলে ওর পাশে আছে। যেকোনও সাহায্য ওকে করব।
[আরও পড়ুন:সংসদ চত্বরে জোড়া ধর্না! দুই ইস্যুতে ধর্না তৃণমূল-বামেদের]
অনুব্রত বললেন, ওকে আর্থিক সাহায্য করেছি। ওর একটা চাকরির দরকার বলে জানিয়েছিল। তাই যাতে একটা চাকরির বন্দোবস্ত করা যায়, তা দেখবে দল। তিনি এ ব্যাপারে দিদির সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের নেত্রী আমাদের শিখিয়েছেন মানুষের পাশে থাকতে। আমরা সেইমতো মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছি, মানুষের পাশে থাকছি।