ধেয়ে আসছে আরও এক ঘূর্ণি, ‘তিতলি’র পর আন্দামান সাগরে উঁকি দিচ্ছে ‘গাজা’
ফের দুর্যোগের ঘনঘটা বাংলার আকাশে। আবারও ভিলেন সেই নিম্নচাপ। পূর্বাভাস ছিলই ‘তিতলি’র পর ‘গাজা’ ধেয়ে আসতে পারে।
ফের দুর্যোগের ঘনঘটা বাংলার আকাশে। আবারও ভিলেন সেই নিম্নচাপ। পূর্বাভাস ছিলই 'তিতলি'র পর 'গাজা' ধেয়ে আসতে পারে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া সেই নিম্নচাপ লক্ষ্মীপুজোর আগেই হানা দিয়ে পারে বাংলার উপকূলে। আবহবিবদের বার্তা, নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। তাহলেই কোজাগরির চন্দ্রালোকিত রাতে ঘনিয়ে আসবে অন্ধকার।
কী পূর্বাভাস আবহবিদের
তিতলি বিদায়ের পরই আবহ আধিকারিকরা জানিয়েছিল, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ বাসা বাঁধতে পারে ফের। এই উৎসবের মরশুমেই ধেয়ে আসতে পারে নিম্নচাপের ঘনঘটা। যার জেরে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়া।
পূর্বাভাসে আশ্বস্ত বাংলা
তবে আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকদের ধারণা, এবারের নিম্নচাপ বাংলার থেকে বেশি প্রভাব পড়তে পারে প্রতিবেশী ত্রিপুরা ও মিজোরামে। পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে কিঞ্চিত প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু ব্যাপকভাবে পশ্চিমবঙ্গে জেলাগুলি প্রভাবিত হবে না।
আন্দামান সাগরে ঘণীভূত নিম্নচাপ
পূর্বাভাসে অনুযায়ী, নিম্নচাপ অক্ষরেখার হদিশ মিলেছে। সেই নিম্নচাপ ঘনীভূত হতে পারে আন্দামান সাগরে। ২১ থেকে ২২ অক্টোবরের মধ্যেই তা ঘনীভূত হতে পারে। এই নিম্নচাপ ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে চট্টগ্রাম ও মায়ানমারে প্রবেশ করতে পারে।
নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে
এবারের নিম্নচাপ যদি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, তবে তার প্রভাবে প্রথম বাংলাদেশ ও মায়ানমারের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি হবে। সেই ঝড়ের গতিবেগ হবে ৫৫ কিলোমিটার থেকে ১০০ কিলোমিটার। বাংলাদেশ ও মায়ানমারের উপকূল ধরে এই ঘূর্ণিঝড় হানা দিতে পারে মিজোরাম ও ত্রিপুরায়।
বাংলায় বৃষ্টির সম্ভাবনা
নিম্নচাপ ঘনীভূত হলে ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলা, বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনাতেও। তবে এই নিম্নচাপের প্রভাব অন্যান্য জেলায় যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
ত্রিপুরা-মণিপুরে বর্ষণ আশঙ্কা
নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে উত্তর-পূর্ব ভারত ভাসাতে পারে। সেক্ষেত্রে ত্রিপুরা ও মণিপুরে প্রবল বর্ষণ সম্ভাবনা রয়েছে। হতে পারে ঝড়। ঝড়ের সঙ্গে বর্ষণ প্রবল আকার নিতে পারে উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্য রাজ্যগুলিতেও। এমনিতেই ধসে নদীর স্রোত আটকে বিপত্তি বেধে রয়েছে অসমে।