শেষ বার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি প্রেমিকার, তারপরই হোয়াটস অ্যাপ ‘খুশি থেকো, বাই’
সোশাল মিডিয়ায় মেসেজের উত্তর না পেয়ে চরম পথ বেছে নিল প্রেমিক। কিশোরী প্রেমিকাকে বারবার হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ পাঠিয়েও কোনও সাড়া পায়নি বর্ধমানের কালনার আবির রায়। তারপরই...
সোশাল মিডিয়ায় মেসেজের উত্তর না পেয়ে চরম পথ বেছে নিল প্রেমিক। কিশোরী প্রেমিকাকে বারবার হোয়াটস অ্যাপে মেসেজ পাঠিয়েও কোনও সাড়া পায়নি বর্ধমানের কালনার আবির রায়। শেষে লেখা- খুশি থেকো, বাই। তার খানিক পরে- তুমি খুশি তো। তারপর সব শেষ। শনিবার সকালে নিজের ঘর থেকে উদ্ধার হল কলেজ পড়ুয়া প্রেমিকের ঝুলন্ত দেহ।
বর্ধমানের কালনার পূর্বস্থলীর বাসিন্দা মগরা ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবির প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরে আত্মহত্যার চরম পথ বেছে নিয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। তার মোবাইলের শেষ হোয়াটস আ্যাপ মেসেজ গুলি তেমনই বার্তা দিচ্ছে। তা দেখেই পুলিশের ধারণা, সম্পর্কের টানাপোড়েনেই এই আত্মহত্যা।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কিছুদিন হল স্থানীয় এক কিশোরীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল আবির। কালনার একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সে। সম্প্রতি প্রেমিকার সঙ্গে মান-অভিমানের পালা চলছিল। বন্ধুদের সে কথা জানিয়েওছিল আবির। কিন্তু সে যে এমন ঘটনা ঘটিয়ে ফেলবে কেউ ঘূণাক্ষরেও টের পায়নি।
প্রেমিকার সঙ্গে প্রায়শই কথা কাটাকাটি হত। ফোনেও চলত বচসা। ফলে মানসিক অবসাদে ভুগছিল সে। চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে শেষবারের মতো প্রেমিকার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে সে। হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ করে। কিন্তু প্রেমিকার পক্ষ থেকে কোনও বার্তা সে পায়নি। শেষ মোবাইল বার্তায় আবির লেখে- চিরদিনের মতো খুশি থেকো। আই লাভ ইউ, বাই। তারপর তার সিদ্ধান্তে প্রেমিকা খুশি কি না, তাও জানতে চায় হোয়াটস অ্যাপে। উত্তর আসেনি আর।
তারপরই সব শেষ। ফেসবুকে আবির লেখে, এটাই শেষবারের মতো অনলাইন, শেষ পোস্ট, শেষ স্ট্যাটাস। এই ঘটনায় আবিরের প্রেমিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে পূর্বস্থলী থানায়। পূর্বস্থলী থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। শুরু হয়েছে তদন্ত।