রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক! কেন্দ্রীয় প্রকল্পে জেলা পেল দেশের মধ্যে সেরার পুরস্কার
রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক! কেন্দ্রীয় প্রকল্পে জেলা পেল দেশের মধ্যে সেরার পুরস্কার
রাজ্যের মুকুটে নয়া পালক। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের দেশের মধ্যে সেরা হল রাজ্যের জেলা। ১০০ দিনের কাজে প্রকল্পে দেশের মধ্যে সেরা হয়েছে উত্তরবঙ্গের প্রান্তিক জেলা আলিপুরদুয়ার(alipurduar)। জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা সংবাদ মাধ্যমকে এই খবর জানিয়েছেন।
২০২০-২১ সালে দেশের সেরা আলিপুরদুয়ার
২০২০-২১ সালের কাজের নিরিখে আলিপুরদুয়ার দেশের মধ্যে সেরার মর্যাদা পেয়েছে। চলতি আর্থিক বছরের বাজেটে মহাত্মা গান্ধী জাতীয় কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পে ১ কোটি ১০ লক্ষ ৪১৬ শ্রমদিবস তৈরির টার্গেট নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু অর্থবর্ষ শেষ হওয়ার অনেক আগেই ২ শতাংশ বেশি কর্মদিবস তৈরি করা গিয়েছে এই জেলায়। প্রচুর সংখ্যায় পরিযায়ী শ্রমিক এই প্রকল্পে কাজ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
জেলায় মোট ১ কোটি ১২ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৪৩ শ্রম দিবস
আলিপুরদুয়ারে ৬৬ টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এইসব গ্রাম পঞ্চায়েতে ১ কোটি ১২ লক্ষ ৮২ হাজার ৮৪৩ শ্রম দিবস তৈরি করা গিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত পিছু ১ লক্ষ ৭০ হাজার ৯৫২ শ্রম দিবস তৈরি করা গিয়েছে। জেলার ছটি ব্লকে, ব্লকের নিরিখে ১৫ লক্ষ করে শ্রম দিবস তৈরি হয়েছে। সব থেকে বেশি শ্রম দিবস তৈরি হয়েছে, ফালাকাটা ও কালচিনিতে।
প্রত্যেক পঞ্চায়েতে ৩৮০৪ পরিবারকে কাজ
পঞ্চায়েতের নিরিখে প্রত্যেক পঞ্চায়েতে ৩৮০৪ টি পরিবারকে এই প্রকল্পে কাজ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক পরিবার গড়ে ৪৪. ৯৫ দিন করে কাজ পেয়েছে। ২০১৪ সালে জেলা গঠনের পরে এই প্রথম এই প্রকল্পে এত বেশি সংখ্যক মানুষকে কাজ দেওয়া হল। এদিকে জেলার এই সাফল্যে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আধিকারিক ও সরকারি কর্মীদের কাজের প্রশংসা করেছেন জেলাশাসক।
বাংলার প্রকল্প পুরস্কৃত হয়েছে রাষ্ট্র সংঘে
এর আগে বাংলার সবুজ সাথী এবং উৎকর্ষ বাংলা প্রকল্প রাষ্ট্রসংঘের পুরস্কার পেয়েছিল। ১৬২ টি দেশের ১ হাজার ৬০০ টি প্রকল্পের মধ্যে থেকে সেরা হয়েছিল সবুজ সাথী আর স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য সেরার শিরোপা পেয়েছিল উৎকর্ষ বাংলা। বাংলার তরুণ প্রজন্মকে কাজের উপযোগী করে তোলার জন্য এই প্রকল্প চালু করার পরিকল্পনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি সাধারণ মানুষের নানা অভিযোগের সুষ্ঠু সমাধানের জন্য স্কচ ফাউন্টেশনের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের গ্রিভান্স সেল ই সমাধানকে সর্বোচ্চ পুরস্কার স্কচ প্ল্যাটিনাম অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছিল। এর আগে কন্যাশ্রী প্রকল্পও রাষ্ট্রসংঘের দ্বারা পুরস্কৃত হয়েছিল। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারকে নগদ সহায়তার মাধ্যমে মেয়েদের জীবন ও অবস্থার উন্নয়নের জন্য চালু করেছিলেন কন্যাশ্রী। ২০১৭ সালে সেই প্রকল্প রাষ্ট্রসংঘে বিশ্বসেরার মর্যাদা পায়।
বিজেপি 'বিশিষ্ট’ মুখের খোঁজে! 'তৎকাল’ নেতাদের তৎপরতা শাহের সফরের আগে