রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! নাম ফাঁস করলে নাকি বিপদ বাড়বে, মমতার মন্তব্যে হৈচৈ
রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ! নাম ফাঁস করলে নাকি বিপদ বাড়বে, মমতার মন্তব্যে হৈচৈ
সামনেই ভোট! আর ভোটের আগে কার্যত ভাঙা পা নিয়েই ভোট প্রচারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর আজ সোমবার প্রথমবার ভোট প্রচারে বের হন নেত্রী। পুরুলিয়া-ঝালদায় ব্যাক টু ব্যাক সভা করেন মমতা। হুইল চেয়ারে বসেই বিজেপির বিরুদ্ধে একেবারে আক্রমণাত্বক তৃণমূল সুপ্রিমো। একই সঙ্গে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সিপিএমকেও। তবে এদিন তাৎপর্যপূর্ণভাবে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন।
রেলমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ
পুরুলিয়ার সভা থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো সরাসরি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর দিকে বিস্ফোরক আঙুল তোলেন। তাঁর অভিযোগ, ভোটের আগে অন্য রাজ্য থেকে ট্রেনে করে ভোট লুটেরাদের ঢোকানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এবং সে কাজে প্রত্যক্ষভাবে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রীর ভূমিকাকে কাঠগড়ায় তুলেছেন তৃণমূল নেত্রী। মমতার অভিযোগ, "কয়েকজন মন্ত্রী-সহ রেলমন্ত্রী নিজেই কাউকে ডেকে বলেছেন, ট্রেনে করে দুদিন আগে ভোট লুটেরারা আসবে। তাদের খাবার-দাওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। অন্য রাজ্যের লোকেরা এসে ভোট লুঠ করবে, থাকবে, তারপর পালিয়ে যাবে।" রেলের অফিসারদেরই ওই লুটেরাদের সমস্তরকম ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন মমতা।
মন্তব্য ঘিরে জল্পনা!
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিজেপির তরফে তাঁর এই মন্তব্যের প্রমাণ দাবি করা হয়েছে। যদিও মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দিয়েছে যে, আমি দায়িত্ব নিয়ে এ কথা বলছি! এখানেই থেমে না থেকে তিনি আরও বলেন, যে ব্যক্তি তাঁকে এই তথ্য দিয়েছে তাঁর নাম বললে বিপদ হতে পারে সেই কারণে তিনি বলছেন না। তবে এহেন মন্তব্য ঘির সরগোল রাজ্য রাজনীতিতে।
মমতার বার্তা
আর অভিমান করে ঘরে বসে থাকার সময় নেই। যাঁরা এখনও ঘরে বসে আছেন বেরিয়ে আসুন। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামিল হোন। গেরুয়া শক্তিকে রুখতে সকলের এগিয়ে আজার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার সভা থেকে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে অভিমানী দলীয়ক কর্নী সমর্থকদের একুশের ভোটে তৃণমূলের পাশে থেকে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
আমার গাড়ির দরজা চেপে দেওয়া হয়, ফের বললেন মমতা
সভা থেকে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি গাড়ির পাদানিতে দাঁড়িয়ে মানুষকে নমস্কার করছিলাম। তখন আমার গাড়ির দরজা এমনভাবে চেপে দেওয়া হয় বড় চোট পাই। আমাকে চিকিৎসকরাও বলেছিলেন ১৫ দিন একদম উঠতে পারবেন না। আমি বললাম, আপনারা চিকিৎসাটা করে দিন। বাকি আমি ঠিক হুইল চেয়ারে মানুষের কাছে পৌঁছে যাব। আমায় হাজরায় মাথা ফাটানো হয়, দু'হাত ভাঙা নয়, অনেক মার খেয়ে এখানে এসেছি। অনেকে ভেবেছিল মমতা ভোটের সময় বেরোতে পারবে না। ডুগডুগি বাজিয়ে দেব। কিন্তু আমি ভাঙি তবু মচকাই না। যতক্ষণ পর্যন্ত শ্বাস থাকবে, কন্ঠ চলবে তা রোখার দুঃসাহস যেন কেউ না দেখায়। আমি রাস্তায় থেকেই লড়াই করি। আমি স্ট্রিট ফাইটার।
নন্দীগ্রামে অটোমোবাইল কম্পানির উদ্যোগ ভেস্তে যাওয়া নিয়ে মমতাকে বিঁধলেন মোদী মন্ত্রিসভার হেভিওয়েট