ভোটের আগে বিজেপিতে বিদ্রোহ! ক্ষুব্ধ শাহ, মুকুল-দিলীপদের জরুরি তলব দিল্লিতে
দফায় দফায় উত্তপ্ত হেস্টিংস! প্রার্থী বদলের দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। সোমবার সকাল থেকে চলছে এই বিক্ষোভ। যা আজ মঙ্গলবার আরও বৃহৎ চেহারা নিয়েছে। আদি বনাম নব্যের লড়াই যা ছিল দীর্ঘদিন জেলার মধ্যে সীমাবন্ধ সেই আঁচ এসে পড়েছে হেস্টিং
দফায় দফায় উত্তপ্ত হেস্টিংস! প্রার্থী বদলের দাবিতে চলছে বিক্ষোভ। সোমবার সকাল থেকে চলছে এই বিক্ষোভ। যা আজ মঙ্গলবার আরও বৃহৎ চেহারা নিয়েছে। আদি বনাম নব্যের লড়াই যা ছিল দীর্ঘদিন জেলার মধ্যে সীমাবন্ধ সেই আঁচ এসে পড়েছে হেস্টিংসে।
যা সামাল দিতে রীতিমত চাপ বাড়ছে বিজেপি নেতাদের। এই অবস্থায় ক্রমশ চাপ বাড়ছে! কীভাবে সামাল দেওয়া সম্ভব? দফায় দফায় আলোচনা করছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
শীর্ষ নেতাদের জরুরি তলব শাহের
এখনও পর্যন্ত বহু কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণা বাকি। ১২০টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা হলেও প্রার্থী নিয়ে বিদ্রোহ বিজেপিতে। এই অবস্থায় সোমবার রাতে তড়িঘড়ি কলকাতায় আসেন অমিত শাহ। আসেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। দফায় দফায় গোটা রাত ধরে চলে বৈঠক। তিনি বুঝেছেন যে কোথাও একটা খামতি রয়েছে। আর তাই দিল্লি ফিরে যেতেই ফের বাংলার শীর্ষনেতাদের তলব করলেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার রাতেই দিল্লিতে জরুরি তলব করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ফের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর বিজেপি-র নির্বাচনী কার্যালয়ে যে 'অস্থিরতা' তৈরি হয়েছে, তা কী ভাবে মোকাবিলা করা যায়, তার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু এরপরেও এখনও থামেনি অশান্তি। এই অবস্থায় ফের রাতে জরুরি তলব শাহের।
ক্ষুব্ধ অমিত শাহ
সূত্রের খবর, প্রার্থী বাছাই নিয়ে কেন সতর্ক হননি বিজেপি নেতৃত্ব। এমন যে হতে পারে সেই আঁচ ছিল না তাঁদের কাছে। এই ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ শাহ। এমনটাই সূত্রের খবর।
গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার হুমকি
প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ অব্যাহত। সোমবারের পর মঙ্গলবারও হেস্টিংসের বিজেপি দফতরে বিক্ষোভ চলছে দলীয় কর্মীদের। এ দিন তা আরও চরম আকার ধারণ করেছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রার্থী বদল করা হচ্ছে আন্দোলন চলবে। আর এর মধ্যেই গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার হুমকি দেন এক বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ। বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় পুলিশের। শুধু কলকাতায় নয়, জেলায়-জেলায় স্পষ্ট অন্তর্কলহের ছবি। নির্বাচনের আগে এই ছবিতে স্বাভাবিকভাবেই বিপাকে বঙ্গ বিজেপি। আর সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার আসরে নামতে হল খোদ অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার মতো কেন্দ্রীয় হেভিওয়েট নেতাদের।
অসমে গিয়েও শাহ তড়িঘড়ি ফেরেন কলকাতায়
সোমবার দিনের শুরুতে ছিল হেলিকপ্টার বিভ্রাট। অমিত শাহ ঝাড়গ্রামের সভা হাজির হতে না পারলেও ভার্চুয়ালি ভাষণ দেন। তারপর দেরি হলেও বাঁকুড়ার রানিবাঁধে পৌঁছন। সেখানে উপস্থিত জনতার কাছে দেরি পৌঁছনোর জন্য ক্ষমা চেয়ে নেন তিনি। এরপর পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই তিনি চলে যান অসমে। সেখানে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করেন এমন কী জনসভায় ভাষণও দেন। সেখান থেকে তাঁর দিল্লি ফিলে যাওয়ার কথা থাকলেও, পশ্চিমবঙ্গে দলের পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করেই সূচি বদলে যায়। তিনি রাতে কলকাতায় ফেরেন।
রাতে কলকাতায় জরুরি বৈঠক
কলকাতায় ফিরেই পাঁচতারা হোটেলে জরুরি বৈঠক করেন অমিত শাহ। তারই মধ্যেই কলকাতায় পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনিও ওই বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে অংশ নেন রাজ্য বিজেপির প্রথম সারির নেতারা। সূত্রের খবর অনুযায়ী বৈঠকে উঠে আসে প্রার্থী তালিকা নিয়ে বিক্ষোভের কথা। বৈঠকে ভোটের প্রস্তুতি ছাড়াও প্রচারের রূপরেখাও ঠিক করে দেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। এরপর এদিন ভোরেই তিনি দিল্লি ফিরে যান। কিন্তু দিলি ফিরেই বাংলার অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন শাহ। এরপরেই জরুরি তলব
মুকুল-দিলীপদের প্রার্থী হওয়া নিয়ে গুঞ্জন
ইতিমধ্যে একগুচ্ছ সাংসদকে প্রার্থী করা হয়েছে। তালিকায় বাবুল, লকেট সহ রয়েছেন অনেকেই। কিন্তু দলে বিদ্রোহ কমাতে মুকুল দিলীপদেরও ভোটের ময়দানে নামাতে পারে দিল্লি। এমনটাই সূত্রের খবর।