মমতার হাত ধরতেই বাজপেয়ী আমলের গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রীকে বড় 'উপহার' তৃণমূলের
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। তৎকালীন বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন যশবন্ত সিং। মন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ওব্রায়েনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি।
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন হেভিওয়েট বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা। তৎকালীন বাজপেয়ী সরকারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন যশবন্ত সিং। মন্ত্রী সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ওব্রায়েনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি।
সূত্রের খবর দীনেশ ত্রিবেদীর জায়গায় তাঁকে বসাবে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজ্যসভার সাংসদের পদে বসানো হবে তাঁকে। তবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও দলে যোগদানের পরে যশবন্ত সিংকে বড় পুরস্কার দিল শাসকদল তৃণমূল।
তৃণমূলে বড় দায়িত্ব যশবন্ত সিনহাকে
বাজপেয়ী জমানার গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন বাজপেয়ী। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন। এখন তিনি তৃণমূলে। রাজনৈতিকভাবে অবশ্যই অভিজ্ঞ। এমনকি, দলকে দিশা দেখাতেও যথেষ্ট দক্ষ। আর সেই বিষয়টিকেই গুরুত্ব দিতে চাইছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রস। আর সেই কারনেই দল বড় পদ পেলেন বাজপেয়ী আমলের এই মন্ত্রী। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি হিসেবে নিযুক্ত করা হল যশবন্ত সিংকে। এমনকি, দলের জাতীয় ওয়ার্কিং কমিটিতেও নিয়ে আসা হয়েছে তাঁকে। সোমবার প্রেস বিবৃতি দিয়ে এই ঘোষণা করেছে তৃণমূল। ফলে বিধানসভা ভোটের আগে এহেন রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যের শাসকদল নিজেদের শক্তি বাড়াল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
দীনেশের বদলী যশবন্ত
কয়েকদিন আগেই রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে নজিরবিহীন ভাবে দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। দীনেশের জায়গায় যশবন্তকে ভেবে রেখেছে শাসক দল। যদিওএই নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি তাঁরা। প্রবীণ নেতার হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়ে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেছেন, দলের উপদেষ্টা হিসেবে থাকবেন তিনি। প্রবীণ রাজনীতিকের অভিজ্ঞতা দলকে সমৃদ্ধ করবে। যশবন্তর এই দলবদলের মূলে রয়েছের ডেরেক এব্রায়েন এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
মমতার হাত ধরেই তৃণমূলে আসার কথা ছিল
তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতেই। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন তার জেরেই পিছিয়ে যায় যশবন্ত সিনহার বিেজপিতে যোগদান। এদিন তৃণমবল ভবনে আসার আগে প্রবীণ বিজেপি নেতা কালীঘাটে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে আসেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন। তারপরেই তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি।
যশবন্ত সিনহাকে সামনে রেখে জাতীয় রাজনীতিতে তৃণমূল
সর্বভারতীয় দল হিসাবে থাকলে জাতীয় রাজনীতিতে এখনও পায়ের মাটি শক্ত করতে পারেনি তৃণমূল। বারবার রাজ্যের বাইরে ভোটে লড়াই করলেও এখনও পর্যন্ত সেভাবে দাগ কাটতে পারেনি। এই অবস্থায় যশবন্ত সিনহাকে দলে টেনেছে তৃণমূল। সোমবার থেকে তৃণমূল ন্যাশনাল ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হওয়ার পাশাপাশি সর্বভারতীয় স্তরে সহ-সভাপতি পদে বসানো হল যশবন্ত সিনহা। সোমবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি প্রেস বিবৃতি দিয়ে এ কথা জনিয়েছেন। এই মুহূর্তে তৃণমূল প্রেসিডেন্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর ঠিক পরবর্তী পদেই এলেন যশবন্ত সিনহা। এবার থেকে তিনি এবং সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সি দু'জন একসঙ্গে কাজ করবেন। শোনা যাচ্ছে, রাজ্য স্তরে সুব্রত বক্সি দেখলেও জাতীয় রাজনীতিতে অনেকটাই ভূমিকা থাকবে যশবন্ত সিনহার।