ভোটে কাজে না সিভিক-গ্রিন পুলিশদের! সোমবারের মধ্যেই বাংলায় ১৭০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী
অবাধ এবং সুষ্ঠভাবে ভোট করতে ইতিমধ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। ভোট ঘোষণার আগেই বাংলায় প্রায় ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে।
অবাধ এবং সুষ্ঠভাবে ভোট করতে ইতিমধ্যে একগুচ্ছ পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন। ভোট ঘোষণার আগেই বাংলায় প্রায় ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে।
ভোটারদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে ইতিমধ্যে এরিয়া ডোমিনেশনের কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী! মানুষদের সঙ্গে কথা বলে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কাজ করছেন। অন্যদিকে বিরোধীদের দাবি মেনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের।
ভোটে ব্যবহার করা যাবে না সিভিক পুলিশ, গ্রিন পুলিশদের
ভোটের কাজে যাতে গ্রিন পুলিশ কিংবা সিভিক পুলিশদের কাজে না লাগানো হয় সেজন্যে কমিশনের কাছে আবেদন রাখে বিরোধীরা। সেই মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশনের। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কোনও সিভিক পুলিশ, গ্রিন পুলিশদের ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি স্টুডেন্ট পুলিশদের ভোটের কাজ বা তার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনও কাজে নিযুক্ত করা যাবে না বলেও নির্দেশিকাতে জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্দেশিকা এছাড়াও নির্দেশিকাতে আরও গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্তের কথা বলা হয়েছে। কমিশনের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের নির্বাচনের কাজে নিয়োগ করা যাবে না। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি দিয়ে সাফ জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
শুক্রেই বাংলায় আসছেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা
সূত্রের খবর, শূক্রবারই বাংলায় পা রাখছেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। আসছেন বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে এবং মৃণাল কান্তি দাস। এছাড়াও আসছেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েক। শুক্রবার সন্ধ্যার মধ্যেই চলে আসবেন বিশেষ আয়-ব্যয় পর্যবেক্ষক মুরলি কুমার। বিবেক দুবের বাংলায় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। বাংলায় পা রেখেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন বিশেষ পর্যবেক্ষকদের দল। শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কি ব্যবস্থা কিংবা কীভাবে চলতে হতে পারে সে বিষয়ে এই বৈঠকে রূপরেখা তৈরি হতে পারে বলে খবর।
বৈঠক করেই এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের সঙ্গে বৈঠক করার পরেই এলাকা পরিদর্শনে যাবেন বিশেষ দুই পুলিশ পর্যবেক্ষক। আলাদা ভাবে বের হবেন বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় ভি নায়েকও। ঠিক কোথায় কোথায় তাঁরা যাবেন সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ইতিমধ্যে স্পর্শকাতর এলাকাগুলির তালিকা রয়েছে পর্যবেক্ষকদের হাতে। প্রথম দুদফায় যে সমস্ত এলাকায় স্পর্শকাতর জায়গা রয়েছে সেখানে ঘুরে দেখতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। আলাদা আলাদাভাবে জায়গাগুলিকে ঘুরে দেখতে পারেন বিশেষ পর্যবেক্ষকরা। ভোটের আগে সেই সমস্ত জায়গায় কি থাকবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে খবর।
বাংলায় আসছে আরও কেন্দ্রীয় বাহিনী
নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, ভোট নিরাপত্তায় ২৫ মার্চের মধ্যে ৬৫০ কোম্পানি বাহিনী আসবে রাজ্যে। তার মধ্যে ৮ মার্চের মধ্যেই রাজ্যে চলে আসবে ১৭০ কোম্পানি বাহিনী। ইতিমধ্যে ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে বাংলায়। তবে ঠিক কত বাহিনী এবারের ভোটে আসছে সে বিষয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে সূত্রের খবর, ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতে পারে বাংলায়। প্রতি বুথেই থাকবে বাহিনীর জওয়ানরা।
প্রতি জেলায় তিনজন করে পুলিশ পর্যবেক্ষক
জানা গিয়েছে, ২০১৬ ও ২০১৯-এর বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে প্রতি জেলায় একজন করে পুলিশ পর্যবেক্ষক ছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, এবার প্রতি জেলায় তিনজন করে পুলিশ পর্যবেক্ষক থাকবেন। এছাড়াও প্রত্যেক বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য দু'জন করে সাধারণ পর্যবেক্ষক থাকবেন। ৮ দফার নির্বাচনে মোট ৫০০ জন পর্যবেক্ষক থাকবেন বলে কমিশন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় পর্যবক্ষকদের সঙ্গে সাধারণ পর্যবেক্ষকদের ভার্চুয়াল বৈঠক হয়।