এসএসকেএমে মমতা , হৃদরোগ বিশেষজ্ঞকে সামনে রেখে তৈরি হল পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড
গুরতর জখম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রিন করিডর করে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ির মাঝের সিটে শুইয়ে আনা হয় নেত্রীকে। ইতিমধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস সহ একাধিক শীর্
গুরতর জখম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রিন করিডর করে এসএসকেএমে নিয়ে আসা হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গাড়ির মাঝের সিটে শুইয়ে আনা হয় নেত্রীকে। ইতিমধ্যে হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়েছেন অরূপ বিশ্বাস সহ একাধিক শীর্ষ নেতৃত্ব। হাসপাতাল চত্বরে ভিড় তাঁর অসংখ্য অনুগামীর। হাসপাতাল চত্বরে রাজনৈতিক স্লোগান কর্মীদের। যদিও অন্যান্য অসুস্থ রোগীদের কথা ভেবে ছুটে আসেন তৃণমূল নেতৃত্ব। শান্ত করা হয় কর্মীদের।
কোলে কোলে নামানো হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
মাত্র দেড় ঘন্টায় নন্দীগ্রাম থেকে গ্রিন করিডর থেকে নিয়ে আসা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কার্যত গোটা রাস্তায় যন্ত্রণায় কাতরান তিনি। পা ফুলে গিয়েছে। গোটা শরীর জুড়ে যন্ত্রণা। অল্প জ্বর এসেছে বলেও জানা যাচ্ছে। তবে প্রথমেই পায়ে চোটের অবস্থা বুঝতে এক্সরে করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও তাঁর মধ্যে এক ধরণের আতঙ্ক কাজ করছে। সেই আতঙ্ক আগে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন
পায়ে ও কোমরে চোট পেয়ে নন্দীগ্রাম থেকে কলকাতায় ফিরলেন তৃণমূল নেত্রী তথা নন্দীগ্রামের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসকেএম তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসা করা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। ওই বোর্ডে রয়েছেন সার্জারি, অর্থোপেডিক, এন্ডোক্রিনোলজিস্ট, মেডিসিন ও কার্ডিওলজি বিভাগীয় প্রধানরা। রয়েছেন একজন বিশেষ হৃদরোগ বিশেষজ্ঞও। এছাড়াও সমস্ত বিভাগের ডাক্তারদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বিকেলের পর যাদের ছুটি হয়ে গিয়েছিল তাঁদের দ্রুত এসএসকেএমে আসার জন্যে বলা হয়েছে।
দফায় দফায় বৈঠক
মুখ্যমন্ত্রীর চোটের খবর পাওয়া মাত্র এসএসকেএমে পৌঁছে যান স্বাস্থ্য অধিকর্তা। দফায় দফায় বৈঠক করেন। এসএসকেএমের সুপার সহ ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠক হয়। মূলত কোন পথে কীভাবে চিকিৎসা সে বিষয়টি ঠিক করতেই নিজেদের মধ্যে এই বৈঠক বলে জানা যাচ্ছে।
জ্বর এসেছে মমতার
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানান চোটের জেরে তাঁর বা পা ফুলে গিয়েছে। তাঁর জ্বরও এসেছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি বুকেও ব্যাথা করছে বলে খবর। জানা গিয়েছে তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রীকে কলকাতায় আনতে গ্রিন করিডরের বন্দোবস্ত করা হয়। জানা যাচ্ছে, উডবার্ন ওয়ার্ডের সাড়ে ১২ নম্বর কেবিনে ভর্তি রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এর পিছনে বড় ষড়যন্ত্র
মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত পাওয়ার পিছনে গভীর ষড়যন্ত্র রয়েছে বলে দাবি পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কেন পুলিশ ছিল না বলে দাবি তাঁর। এই ঘটনার পূর্ণাং তদন্তের দাবি জানিয়েছেন রাজ্যের এই মন্ত্রী। অন্যদিকে, এই বিষয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এই বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তিনি তাঁর নিজের কেন্দ্রে আক্রান্ত হয়েছেন। ঠিক এই সময় ঘটনাটি ঘটল যখন ইলেকশন কমিশন ডাইরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিল। এই মুহূর্তে সব থেকে বেশি দায়িত্ব ইলেকশন কমিশনের। এইযে বিশৃংখল করবার চেষ্টা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর আক্রমণ আইনশৃঙ্খলার অবনতির করবার চেষ্টা। সেই চেষ্টা বিরুদ্ধে আমরা অবিলম্বে চাই ইলেকশন কমিশন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।