মধ্যপ্রদেশ-রাজস্থানের পর ঝাড়খণ্ডেও বিপাকে পড়ল সরকার! বেঁকে বসেছে কংগ্রেসের একাংশ
মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের পর ঝাড়খণ্ডেও কংগ্রেস জোট সরকারও চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বা জেএমএমের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের সরকারের উপর অসন্তুষ্ট কংগ্রেস।
মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের পর ঝাড়খণ্ডেও কংগ্রেস জোট সরকারও চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। হেমন্ত সোরেনের ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা বা জেএমএমের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন জোটের সরকারের উপর অসন্তুষ্ট কংগ্রেসের ১৫ জন বিধায়কের অর্ধেক। সোরেন সরকারের প্রতি প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব বেজায় চটেছে। তাতেই চ্যালেঞ্জের মুখে ঝাড়খণ্ডের সরকার।
রাজস্থানে যেমন শচীন পাইলটের অনুগত বিধায়করা
রাজস্থানেও যা ঘটেছিল ঝাড়খণ্ডে তার প্রতিফলন ঘটানোর চেষ্টা করছে কংগ্রেস। রাজস্থানে যেমন শচীন পাইলটের অনুগত বিধায়করা নিজস্ব সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিলেন, এখানেও কংগ্রেসের একাংশ সেই খেলা শুরু করেছে। এর নেপথ্যেও বিজেপি রয়েছে বলে অভিযোগ শাসক শিবিরের।
মুখ্যমন্ত্রী এবং চার কংগ্রেস মন্ত্রীর বিরুদ্ধে
ঝাড়খণ্ডের একজন প্রবীণ কংগ্রেস বিধায়ক বলেন, "হেমন্ত সোরেন সরকার রঘুবর দাস পরিচালিত সর্বশেষ বিজেপি সরকারের প্রতিবিম্ব হয়ে উঠেছে। সাধারণ মানুষ উপেক্ষিত হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং চার কংগ্রেস মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও এহেন অভিযোগ করেন কংগ্রেস নেতা। কংগ্রেসের মধ্যে এই বিভেদ ছড়িয়ে পড়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে।
তিন প্রবীণ বিধায়ক দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন
কংগ্রেসের মধ্যে এই রাজনৈতিক সঙ্কট রাজ্যের রাজধানী রাঁচির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। ইরফান আনসারি, উমাশঙ্কর আকেকা এবং রাজেশ কাশ্যপ- তিন প্রবীণ বিধায়ক দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন। সিনিয়র কংগ্রেস নেতা আহমেদ প্যাটেলের সঙ্গে তাঁরা দেখাও করেছেন।
যাঁরা ঝাড়খণ্ড সরকারের প্রতি অসন্তুষ্ট
এই বৈঠকে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বলে জানা গেছে। কংগ্রেসের অন্যান্য বিধায়ক, যাঁরা ঝাড়খণ্ডে অসন্তুষ্ট বলে মনে করা হচ্ছে, তাঁরা হলেন ভি ভি কংগ্রি, ভূষণ বড়, মমতা দেবী, অম্বা প্রসাদ, পূর্ণিমা এন সিং এবং রাম চন্দ্র সিং। রাহুল গান্ধীর কাছে দরবার করার আর্জিও জানান তাঁরা।