সোদপুরে দম্পতির রহস্যমৃত্যু, ভাড়াবাড়িতে উদ্ধার ঝুলন্ত দেহ
সোদপুরের ইন্দ্রলোকে ভাড়াবাড়িতেই থাকতেন বিপ্লব চক্রবর্তী (৫০) এবং শিপ্রা চক্রবর্তী। শনিবার সকালে ঘরের মধ্যে থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস।
সোদপুরের ইন্দ্রলোকে ভাড়াবাড়িতেই থাকতেন বিপ্লব চক্রবর্তী (৫০) এবং শিপ্রা চক্রবর্তী। শনিবার সকালে ঘরের মধ্যে থেকে তাঁদের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিস। প্রাথমিক অনুমান আত্মহত্যা করেছেন স্বামী-স্ত্রী।
বাড়ির মালিক জানিয়েছেন, বছর খানের আগে তাঁরা বাড়িটি ভাড়া নেন। পরিবারে ভালোই ছিল বলে দাবি করেেছন তিনি। মাঝে মধ্যে সাংসারিক অশান্তি হত ঠিকই। তবে মারাত্মক কোনও ঘটনা কখনও ঘটেনি। টাকা পয়সা নিয়েই ঝগড়াঝাটি হত বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার দীর্ঘক্ষণ তাঁদের সাড়াশব্দ না পেয়ে ডাকাকাডি শুরু করেন বাড়ির মালিক সুব্রত দাসের। তাঁদের দুই সন্তানও ভয় পেয়ে ডাকাডাকি শুরু করেন। শেষে বিপ্লববাবুর ছোট মেয়েই জানলা দিয়ে প্রথমে মা-বাবাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিসে খবর দেওয়া হয়। পুলিস এসে দরজা ভেঙে দেহ উদ্ধার করে।
বিপ্লববাবুর দেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় গামছার ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলছিল। অন্যদিকে শিপ্রাদেবীর দেহ জানলায় গলায় দড়ির ফাঁস দেওয়া অবস্থায় পড়েছিল। পুলিসের অনুমান স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছে বিপ্লব চক্রবর্তী। তদন্ত শুরু করেছে ঘোলা থানার পুলিস।