গৌতম গেলেন না থানায়, সুজন চক্রবর্তীর পিছনেও পড়ল পুলিশ
মঙ্গলবার সিপিএমের রাজ্য দফতর আলিমুদ্দিন স্ট্রিটে কাগজপত্র, দলিল দেখিয়ে নিজের দাবি প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন গৌতমবাবু। সেই সাংবাদিক বৈঠক শেষ হওয়ার দু'ঘণ্টা পরই সল্ট লেক ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ আসে তাঁর বাড়িতে। কিন্তু তিনি তখনও না ফেরায় ফের রাত সাড়ে দশটা নাগাদ পুলিশ হানা দেয় গৌতম দেবের বাড়িতে। বলা হয়, সারদা মামলা-সংক্রান্ত বিষয়ে তাঁর সঙ্গে আইসি কথা বলবেন। গৌতমবাবু বলেন, "পুলিশের আর কী দোষ? দিদির আবদার, গৌতম দেবকে লক-আপে দেখবেন। তাই ওরা এসেছিল। আমার সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের কোনও যোগ নেই। আমার আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইল ফোনের কললিস্ট দেখুক পুলিশ। তা হলেই জানা যাবে, সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে কতবার প্রেমালাপ করেছেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। যখন সারদা গোষ্ঠীর রমরমা অবস্থা, তখন কালিম্পঙের ডেলোতে একটি বাংলোয় সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোপন মিটিং করেন। ওই মিটিং রাত বারোটায় হয়েছিল।"
(আরও পড়ুন: চাঁদে কলঙ্ক আছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলঙ্কিত নন, বললেন ফিরহাদ হাকিম)
এদিকে, সিপিএম অভিযোগ তোলে, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে 'যুক্তিসঙ্গত' অভিযোগ তোলায় প্রতিহিংসাবশত পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রাক্তন আইনমন্ত্রী তথা আর এক ডাকাবুকো সিপিএম নেতা নিশীথ অধিকারী আইনি পরামর্শ দেন তাঁকে। পরে বুধবার বিকেলে গৌতম দেব জানিয়ে দেন, ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানায় তিনি যাননি। আইনজীবীদের পাঠিয়েছিলেন। তাঁরা একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন। সেটি পুলিশ গ্রহণ করেছে। ভোটের পর দেখা করবেন।
অন্যদিকে, সুজনবাবুর প্রতিক্রিয়া, "সারদা-কাণ্ডে এখন দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে রাজ্য সরকারের। তাই ওরা এ সব করছে। প্রশাসন অকেজো হয়ে গিয়েছে। চ্যাংরামি হচ্ছে, অসভ্যতা চলছে। আমি জানতে পেরেছি এটার কেস নম্বর হল ১০২/২০১৩, বিধাননগর নর্থ থানার মামলা। কিন্তু আমায় নোটিশ পাঠিয়েছে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানা। ওখানেই হাজির দিতে বলা হয়েছে। মাথামুণ্ডু বুঝতে পারছি না।"
আপনি কি যাবেন? সুজনবাবু কড়া প্রতিক্রিয়া, "আমার কি আর কাজ নেই নাকি? যখন সময় হবে তখন যাব। পুলিশ অকর্মণ্য। কোনও কাজ নেই, তাই ভোটের আগে আমাদের পেছনে লেগেছে।"