পাহাড় সমস্যার সমাধানে অধীরের চিঠি প্রধানমন্ত্রীকে, মোদীকে কী লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি
রাজ্য সরকার ব্যর্থ পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অধীর চৌধুরীর আর্জি পাহাড়ে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর।
পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপ দাবি করল প্রদেশ কংগ্রেস। পাহাড়ে শান্তি ফেরানোর আর্জি জানিয়ে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে কুড়োলেন রাজনৈতিক মহলের প্রশংসাও।
অধীরবাবু এদিন চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে লেখেন, একমাস ধরে পাহাড়ের পরিস্থিতি কঠিন থেকে কঠিনতর হয়েছে। বনধ চলছে মাসাবধি কাল। স্কুল-কলেজ, অফিস-কাঁচারি, পরিবহণ সমস্ত কিছুই বন্ধ। পাহাড় পর্যটন লাটে উঠেছে। পাহাড়ে মানুষ খাবারের জন্য পুরোপুরি সমতলের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন।
এই অবস্থায় পাহাড়ে প্রতিদিন পুড়ছে সরকারি অফিস। প্রতিদিন বহু টাকার সম্পত্তি নষ্ট করছে। রাজ্য সরকার ব্যর্থ পাহাড়ে শান্তি ফেরাতে। এমতাবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকার তথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তাঁর আর্জি পাহাড়ে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর। পাহাড়ে আবার স্বাভাবিক ছন্দ ফিরিয়ে দেওয়ার।
অধীরবাবুর এই উদ্যোগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে এদিন নানা ব্যাখ্যা শোনা গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ব্যাখ্যা, অধীর চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীকে এই চিঠি লেখার জন্য নিজের দলেও সমালোচিত হবেন। কিন্তু রাজ্যের স্বার্থে পাহাড় সমস্যার সমাধান চেয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখা প্রশংসার দাবি রাখে। দলের স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে খুব কম নেতাই এমন কাজ করতে পারেন বলে মন্তব্য বিজেপির একাংশের।
পাশাপাশি এমন সমালোচনাও হয়েছে যে, তৃণমূলের কাছে মুর্শিদাবাদে কোণঠাসা হয়ে অধীরবাবু বিজেপি-র দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন। তাই বিজেপি-র সঙ্গে তাঁর সখ্যতা আরও একবার ঝালিয়ে নিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এক ঢিলে দুই পাখিও মারতে চাইলেন তিনি।
প্রথমত তিনি বুঝিয়ে দিলেন পাহাড়ে শান্তি ফেরানোই তাঁর মূল লক্ষ্য। সে জন্য রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। এই কাজে তিনিই পথপ্রদর্শক। দ্বিতীয়ত তৃণমূলকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রের প্রতি আস্থা জ্ঞাপন করাও তাঁর উদ্দেশ্য।
দার্জিলিঙের সমস্যার সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে এই হস্তক্ষেপ দাবি করে অধীরবাবু নিজেকে রাজ্যবাসীর নেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করলেন বলেও ব্যাখ্যা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব। প্রধানন্ত্রীকে চিঠি লিখে তিনি নিজেকে একজন প্রকৃত বাঙালি হিসেবে পরিচয় স্থাপন করলেন। সেইসঙ্গে তিনি তৃণমূল বিরোধিতাও জারি রাখলেন।