অধীরের ‘লক্ষ্য’ এখন অন্যদিকে, বাংলার জোট রাজনীতি এখন বইছে ভিন্ন খাতে
রাজ্য রাজনীতি নিয়ে এখন আর কেমন ভাবিত নন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সোনিয়া গান্ধী তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই দায়িত্ব পালনই তাঁর পয়লা নম্বর লক্ষ্য।
রাজ্য রাজনীতি নিয়ে এখন আর কেমন ভাবিত নন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সোনিয়া গান্ধী তাঁকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন, সেই দায়িত্ব পালনই তাঁর পয়লা নম্বর লক্ষ্য। তাই রাজ্যে বাম-কংগ্রেস জোট-প্রসঙ্গ এড়িয়ে অধীর যুক্তি দেখালেন, ওসব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে হাইকম্যান্ড। তিনি ওসব ভাবছেন না।
অধীরের লক্ষ্যে লোকসভা
অধীর চৌধুরী একক কৃতিত্বে বহরমপুর থেকে জিতে লোকসভায় গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে হাইকম্যান্ডের কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়ে গিয়েছেন। পেয়েছেন দলের লোকসভা দলনেতার পদ। ভাগ্য সহায় থাকলে অদূর ভবিষ্যতে তিনি লোকসভার বিরোধী দলনেতার মর্যাদাও পেতে পারেন। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে অধীর এখন দিল্লি নিয়েই বেশি ব্যস্ত। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে ভাবছেন না।
অধীর বাংলা নিয়ে ভাবিত নন
অধীর চৌধুরী বুঝিয়ে দিয়েছেন, আগামী পাঁচ বছর তিনি দিল্লিতেই রাজনীতি করবেন। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি নিয়ে অন্যরা ভাববেন বলে যুক্তি খাঁড়া করছেন। বলছেন, সিদ্ধান্ত নেবে হাইকম্যান্ডই। তিনি লোকসভা ও দিল্লির রাজনীতিতেই মনোনিবেশ করতে চাইছেন।
অধীর উৎসাহী ছিলেন জোটে
রাজ্যে একটা সময়ে বামেদের সঙ্গে জোট গড়়তে তিনি সবথেকে বেশি উদ্যোগী ও উৎসাহী ছিলেন। আর বিগত বিধানসভা নির্বাচনে তিনি জোট গড়েও ছিলেন বামেদের সঙ্গে। তাঁর ফল পেয়েছিলেন হাতেনাতে। তারপর অবশ্য জোট ভেঙে যায়। তবে তিনি বরাবরই জোটের পক্ষে ছিলেন। ছিলেন তৃণমূল বিরোধী লড়াই চালিয়ে যেতে।
লোকসভা ভোটের পর পরিস্থিতি
লোকসভা ভোটের পর তিনিও আলাদা করে ভাবছেন, তা বলাই বাহুল্য। জোট বিরোধীদের যুক্তি, প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই এককভাবে ভোটে লড়ে লোকসভায় দুটি আসনে জয় পেয়েছে কংগ্রেস। ফলে যদি সংগঠন বৃদ্ধিতে বিশেষ নজর দেওয়া যায়, তবে কংগ্রেস আবার এককভাবে লড়াই দিতে পারে বিজেপি ও তৃণমূলকে। সিপিএমকে নিয়ে চলার কোনও অর্থই হয় না। এতে কংগ্রেসের নিচুতলার নেতৃত্বের কাছে ভুল বার্তা যাবে।