বঙ্গোপসাগরের গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী, সাগর থেকে দিঘা শুরু ঝড়ের তাণ্ডব
রাতারাতি গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়োর দাপট বাড়ছে উপকূলবর্তী এলাকায়। বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপের অভিমুখ সরাসরি বাংলা হওয়া স্থলভাগে তা ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে।
রাতারাতি গভীর নিম্নচাপ আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝড়োর দাপট বাড়ছে উপকূলবর্তী এলাকায়। বঙ্গোপসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপের অভিমুখ সরাসরি বাংলা হওয়া স্থলভাগে তা ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে দিয়েছে। গভীর নিম্নচাপের অভিমুখ সাগর থেকে হলদিয়া, দিঘার সমুদ্র উপকূলে বইছে ঝড়ের প্রকোপ।
অতি গভীর নিম্নচাপ স্থলভাগে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালাচ্ছে
আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে আগেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল, এবারের নিম্নচাপ অনেক বেশি শক্তিশালী। ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাবস্থায় পৌঁছে গিয়েছে নিম্নচাপ। ফলে উপকূলবর্তী এলাকায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বইবে। নিম্নচাপ আরও কয়েকদিন সাগরে থাকলে তা ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হত। আপাতত অতি গভীর নিম্নচাপ স্থলভাগে প্রবেশ করে তাণ্ডব চালাচ্ছে।
সন্ধ্যার পর থেকে অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে
মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর থেকেই দুর্যোগ শুরু হয় বাংলায়। সাগর থেকে শুরু করে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় ঝড়ের দাপট ছিল যথেষ্ট। উপকূলবর্তী এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বইছে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মেঘের ঘোর বেড়েছে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায়। কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গেও ঝোড়ো হাওয়া বয়েছে। অতিভারী বৃষ্টি না হলেও সন্ধ্যার পর থেকে অবিরাম বৃষ্টি হয়ে চলেছে।
সমুদ্র থেকে তড়িঘড়ি স্থলভাগে নিম্নচাপের প্রবেশে রক্ষে
বঙ্গোপসাগর থেকে অতি গভীর নিম্নচাপটি স্থলভাগে ঢুকে হলদিয়া সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত না হয়েও যেভাবে দাপট দেখাল, তা বেনজির। সমুদ্র থেকে তড়িঘড়ি স্থলভাগে ঢুকে যাওয়াতেই রক্ষে বলে মনে করছে আবহাওয়া দফতর। তা না হলে আবারও সরাসরি ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়তে হত বাংলাকে।
গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির প্রকোপ বাড়বে
এখনও পর্যন্ত গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির প্রকোপ সেভাবে দেখা যায়নি। তবে কলকাতার পশ্চিম দিকে থেকে নিম্নচাপটি অতিক্রম করায়, তা বঙ্গোপসাগর থেকে জলীয় বাষ্প টেনে এনে বৃষ্টি ঘটাবে। মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত কলকাতা ও কলকাতা শহরতলির জেলাগুলিতে প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টির দাপট শুরু
ঘূর্ণিঝড় গুলাবের পিছু পিছু এই গভীর নিম্নতাপ বাংলার স্থলভাগে হানা দিয়েছে। বঙ্গোপসাগরে এমন প্রবল শক্তিধর নিম্নচাপ এই স্বল্প সময়ের মধ্যে বিরল। রবিবার রাতে গুলাব আছড়ে পড়েছে ওড়িশার গোপালপুর ও অন্ধ্রপ্রদেশের কলিঙ্গপত্তনমের মাঝে। তার পিছু পিছু সোমবারই ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছিল মায়ানমার সাগরে। তা দ্রুত বঙ্গের উপকূল অভিমুখে চলে এল। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অতি গভীর নিম্নচাপ হয়ে বাংলায় দুর্যোগ আনল। ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকা ও গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস মতোই রাত বাড়তেই দাপট ঝড়-বৃষ্টির
কলকাতা-সহ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছিল আবহাওয়া দফতর। দক্ষিণবঙ্গেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিল। সেইমতো এদিন সন্ধ্যা নামার পর থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে ঝড়ের দাপট ছিল। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া দফতরের আধিকারিকরা।