মুকুল ঘনিষ্ঠ নেতার বিরুদ্ধে সহবাসের অভিযোগ, বিয়ের দাবিতে বাড়ির গেটে ধরনা তরুণীর
মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ আর এক নেতার বিরুদ্ধে উঠল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ। শুধু অভিযোগ করেই ক্ষান্ত থাকেননি তরুণী, তিনি একেবারে ধরনায় বসে পড়েছেন নেতার বাড়ির সামনে।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের পর মুকুল রায় ঘনিষ্ঠ আর এক নেতার বিরুদ্ধে উঠল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ। শুধু অভিযোগ করেই ক্ষান্ত থাকেননি তরুণী, তিনি একেবারে ধরনায় বসে পড়েছেন বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভ্র রায়চৌধুরীর বাড়ির সামনে। এরপর পুলিশ এসে তাঁকে থানায় নিয়ে যায়। তিনি ন্যায় বিচারের দাবিতে থানাতেই ধরনা শুরু করেছেন।
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরে রায়গঞ্জে। রায়গঞ্জে উকিলপাড়ায় শুভ্রবাবুর বাড়ির সামনেই ধরনা শুরু করেন ওই তরুণী। তাঁর বাড়ি কলকাতার বেহালায়। তিনি অভিযোগ করেন, 'শুভ্রবাবুর সঙ্গে তাঁর সাড়ে তিন বছরের সম্পর্ক। তিনি লিভ টুগেদারও করেছেন শুভ্র-র সঙ্গে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে একাধিকবার তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্কেও লিপ্ত হয়েছেন শুভ্র।' মুকুল ঘনিষ্ঠ শুভ্র রায়চৌধুরী অবশ্য এ সব অস্বীকার করেছেন।
এই ঘটনায় শুভ্রবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর স্ত্রী। তিনি বলেছেন, 'ওই মহিলার মিথ্যে অভিযোগ করছেন। তাঁর স্বামীকে মিথ্যে অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। উনি যদি মনে করেন ঠিক বলছেন, তাহলে থানায় যান, থানায় গিয়ে অভিযোগ করুক। আইনি পথেই এই মিথ্যে অভিযোগের মোকাবিলা করবেন তাঁরা।' রাজনৈতিক কারণেই শুভ্র-র বিরুদ্ধে এই মিথ্যে অভিযোগ তোলা হয়েছে বলে দাবি তাঁর স্ত্রীর।
শুভ্র রায়চৌধুরী বিজেপির জেলা সভাপতি ছিলেন। মুকুল ঘনিষ্ঠ এই নেতা পরে তৃণমূলে যোগ দেন এবং জেলা তৃণমূলের সম্পাদক পদে বসেন। মুকুল দলত্যাগ করার আগেই তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিদ্রোহ ঘোষণা করে জানান, যে দলে দাদার জায়গা নেই, আমিও সেই দলে থাকব না। মুকুলদা যেখানে থাকবেন, আমিও সেখানই থাকব। সম্প্রতি মুকুল রায়ের সমর্থনে একটি হোর্ডিংয়েও তাঁকে দেখা যায়।
এরই মধ্যে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলা বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ আনলেন। দাবি করলেন, 'শুভ্রর সঙ্গে তাঁর প্রায় সাড়ে তিন বছর যাবৎ শারীরিক ও মানসিক সম্পর্ক রয়েছে।' তিনি অভিযোগ করেন, 'শুভ্র তাঁকে বলেছিলেন, তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে ডিভোর্স প্রসেস চলছে। স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকী শুভ্রর মাও তাঁকে বউ করে ঘরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছিলেন বলে দাবি করেন ওই মহিলা।'
মহিলার অভিযোগ, 'হঠাৎ আমি দেখি সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভ্র-র ম্যারেজ স্ট্যাটাস দেখাচ্ছে। একজন মহিলার সঙ্গে ছবিও পোস্ট করে শুভ্র। তখনই আমি আশঙ্কা করি ও আমাকে অস্বীকার করতে চাইছে। সেই কারণেই আমি ধরনায় বসেছি। যতক্ষণ না ও আমাকে স্বীকার করবে, ততক্ষণ ধরনা চলবে। তাতে যদি আমার মৃত্যু হয় আমি আমার দাবি থেকে একচুলও নড়ব না।' রায়গঞ্জ মহিলা থানায় শুভ্রর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।