হাত-মুখ বাঁধা অচৈতন্য কিশোরী, বাবাকে কোপ মেরে মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় যুবক
বাবাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জর্জরিত করে নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেল প্রতিবেশী যুবক। তারপর রাতভর তার উপর চলল যৌন নিপীড়ন।
বাবাকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জর্জরিত করে নাবালিকা মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে গেল প্রতিবেশী যুবক। তারপর রাতভর তার উপর চলল যৌন নিপীড়ন। ভোর রাতে বাড়ির পাশ থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে অস্ত্র নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ওই কিশোরীর বাড়িতে হানা দেয় প্রতিবেশী যুবক পূর্ণ বর্মন। বাড়ি থেকে কিশোরীকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন ওই যুবককে বাধা দেন কিশোরীর বাবা। কিন্তু তাঁকে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জর্জরিত করে পূর্ণ মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
এরপর রাতভর খোঁজ চালিয়েও মেয়ের হদিশ পায়নি কেউ। অভিযোগ ধানক্ষেতে রাতভর ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে যুবক। তারপর ভোররাতে বাড়ির পাশে ফেলে যায়। সকালে বাড়ির পাশ থেকেই অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে। থানায় অভিযোগ জানানোর পর বুধবার সকালেই অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
নাবালিকার বাড়ির অদূরেই রয়েছে ধানক্ষেত। সেই ধানক্ষেতের মধ্যেই রাতভর চলে নির্যাতন। ওই ছাত্রীর হাত-মুখ বাঁধা ছিল। তা থেকে প্রমাণিত কিশোরী ছাত্রীর হাত-মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত। অত্যাচারের ফলে অচৈতন্য হয়ে পড়ে ছাত্রী। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে ভর্তি নির্যাতিতা কিশোরীর বাবাও। দুজনেরই চিকিৎসা চলছে রায়গঞ্জ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। অভিযুক্ত যুবকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে পরিবার।