ঠাকুর দেখে সবে ফিরেছেন, দরজা খুলতেই চক্ষু ছানাবড়া! শুয়ে রয়েছে বিরাট ‘মূর্তিমান’
ঠাকুর দেখে ক্লান্ত হয়ে রাতে বাড়ি ফিরেছেন সবেমাত্র। ঘরের দরজায় পা রাখতে যাবেন, লাইট ফেলতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড়। উঠোনে শুয়ে আছে মুর্তিমান।
ঠাকুর দেখে ক্লান্ত হয়ে রাতে বাড়ি ফিরেছেন সবেমাত্র। ঘরের দরজায় পা রাখতে যাবেন, লাইট ফেলতেই চোখ ছানাবড়া হয়ে যাওয়ার জোগাড়। উঠোনে শুয়ে আছে মুর্তিমান। সঙ্গে সঙ্গেই চিৎকার করে ওঠেন, ছিটকে পড়েন বাড়ির বাইরে। শেষমেশ পরিবেশপ্রেমী ও বন দফতরের কর্মীরাই রক্ষা করেন। বাড়ি থেকে বন্যপ্রাণীকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তাঁরা।
জলপাইগুড়ির মালবাজারের ওদলাবাড়িতে ঘটে চাঞ্চল্যকর ঘটনা। শনিবার ঠাকুর দেখে রাতে বাড়ি ফেরেন সুভাষপল্লির এক ব্যক্তি। ঘরে পা রাখতে গিয়েই দেখেন উঠোনে শুয়ে রয়েছে পেল্লাই এক অজগর। তা দেখেই চিৎকার করে ওঠেন। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। বিশাল অজগর দেখে সবাই তটস্থ।
এরপর খবর দেওয়া হয় স্থানীয় পরিবেশপ্রেমী সংগঠন ন্যাসকে। ন্যাসের সদস্যরা এসে খাঁচাবন্দি করেন অজগরটি। খবর দেওয়া হয় বন দফতরেও। বন দফতরের কর্মীরা আসার পর তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয় সাপটি। বন দফতরের আধিকারিক জানান, উদ্ধার হওয়া অজগরটি রক পাইথন প্রজাতির। এরপর অজগরটি চাপড়ামাড়ি জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উত্তরবঙ্গের চা বাগান সংলগ্ন এলাকায় আকছার এই ধরনের ঘটনা ঘটে। প্রায়ই চিতা বা অজগর লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তটস্থ থাকতে হয় বন দফতরের কর্মীদের। এক্ষেত্রেও সেই ধরনের ঘটনা ঘটল। রাতেই পরিবশপ্রেমী সংগঠন ও বন দফতরের কর্মীরা উদ্ধার করে নিয়ে গেল অজগরটি।