চিকিৎসা করতে গিয়ে মর্যাদা হানি! সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদে সরব চিকিৎসকরা
সম্প্রতি রাজ্যে বিভিন্ন ঘটনাবলিতে সরব হয়েছেন রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ। আমরিতে শিশু মৃত্যু-সহ একাধিক ঘটনার উল্লেখ করে চিকিৎসকদেরই টার্গেট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
সম্প্রতি রাজ্যে বিভিন্ন ঘটনাবলিতে সরব হয়েছেন রাজ্যের চিকিৎসকদের একাংশ। আমরিতে শিশু মৃত্যু-সহ একাধিক ঘটনার উল্লেখ করে চিকিৎসকদেরই টার্গেট করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের।
ALTERNATE PROFESSION FOR DOCTOR নামে ফেসবুকে একটি closed গ্রুপ খুলেছেন প্রতিবাদী চিকিৎসকরা। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যাঁর সদস্য সংখ্যা ৩০৩। প্রতিবাদী চিকিৎসকদের অনেকেই বলছেন, বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে তাঁরা তাঁদের প্রফেশন ছাড়তে চান।
চিকিৎসায়
গাফিলতির
অভিযোগ,
সময়
মতো
চিকিৎসা
না
করার
অভিযোগ
ছিল
চিকিৎসকদের
একাংশের
বিরুদ্ধে।
একাধিক
চিকিৎসা
কেন্দ্রে
বিষয়টি
নিয়ে
কর্তব্যরত
চিকিৎসকদের
ওপর
হামলার
ঘটনাও
ঘটেছে।
দু-একটি
ক্ষেত্রে
চিকিৎসকদের
ভুল-ত্রুটি
হলেও,
বেশির
ভাগ
ক্ষেত্রেই
দেখা
গিয়েছে,
চিকিৎসকরা
শেষ
পর্যন্ত
চেষ্টা
করেছেন।
চিকিৎসকদের
সেই
প্রচেষ্টা
সামনে
না
এনে
বারবার
খালি
ত্রুটিপূর্ণ
দিকটিই
তুলে
ধরা
হয়
বলে
অভিযোগ
চিকিৎসকদের
একাংশের।
একইসঙ্গে
চিকিৎসকদের
ওই
অংশের
অভিযোগ,
হাসপাতালের
প্রশাসনিক
কর্তাকেই
চিকিৎসক
বলে
চালানোর
চেষ্টা
হয়েছে
সাম্প্রতিক
ঘটনায়।
নাম
না
করে
মুকুন্দপুর
আমরির
ঘটনাই
তুলে
ধরতে
চেয়েছেন
তাঁরা।
সংবাদ
মাধ্যমে
প্রচারের
সময়,
হাসপাতালের
প্রশাসনিক
কর্তাকেই
চিকিৎসক
বলে
চালানোর
চেষ্টা
হয়েছে
বলে
অভিযোগ
চিকিৎসকদের
ওই
অংশের।
সোশ্যাল
মিডিয়ায়
চিকিৎসকদের
বিরুদ্ধে
কুৎসা
করতেও
ছাড়েননি
অনেকেই।
দু
অক্ষর
চার
অক্ষকের
গালাগালি
দিয়ে
চিকিৎসকদের
পেটানোর
ডাক
দেওয়া
হয়েছে।
সেই
বিষয়টি
নিয়েই
সরব
হয়েছেন
চিকিৎসকরা।
পাল্টা
ফেসবুক
অ্যাকাউন্ট
খুলে
পাল্টা
প্রচারও
শুরু
করেছেন
চিকিৎসকদের
কেউ
কেউ।
সেখানে
করা
পোস্টে
অনেক
চিকিৎসকই
বলেছেন,
প্রথমবার
ঘেন্নায়
ডাক্তারি
ছেড়ে
দিতে
ইচ্ছে
করছে।
রাতে
শুয়ে
ঘুম
আসছে
না
বলেও
মন্তব্য
করেছেন
চিকিৎসকদের
অনেকেই।
তাঁরা
বলছেন,
পেশাটাকে
ভালবেসে
নিজের
পারিবারিক,
সামাজিক
জীবনটাকে
নষ্ট
করেছেন।
সেই
পেশা
সম্পর্কে
লোকের
এরকম
নিচু
ধারণা।
রোগীকে
সময়
দিতে
গিয়ে
নিজের
ছেলে
বা
মেয়ের
সাথে
গোটা
দিনে
কোনও
কথা
হয়
না
বলেও
জানিয়েছেন
তাঁরা।
সারাজীবন
তাঁরা
যুদ্ধে
লড়ছেন।
সবচেয়ে
অসম
যুদ্ধ।
মৃত্যুকে
পরাজিত
করার
যুদ্ধ।
একমাত্র
একজন
পরাজিত
ডাক্তারই
বুঝতে
পারে
আরেকজন
পরাজিত
ডাক্তারের
মনের
অবস্থা।
কোনও
ডাক্তারের
মানসিক
অবস্থা
থাকে
না
রোগীর
আত্মীয়কে
হুমকি
দেওয়ার।
ফেসবুক
পোস্টে
মন্তব্য
করেছেন
ঐন্দ্রিল
ভৌমিক
নামে
পানিহাটি
স্টেট
জেনারেল
হাসপাতালের
ওই
চিকিৎসক।
তাঁর
অভিযোগ,
জয়ন্তী
চট্টোপাধ্যায়
চিকিৎসক
নন।
তিনি
আমরির
প্রশাসনিক
কর্তা।
সংবাদ
মাধ্যমের
একাংশ
জয়ন্তী
চট্টোপাধ্যায়কে
চিকিৎসক
বলে
দেখিয়েছে
বলে
অভিযোগ
করেছেন
তিনি।
একাধিক উদাহরণও তুলে ধরেছেন চিকিৎসক ঐন্দ্রিল ভৌমিক। তাঁর অভিযোগ, বাংলায় কোনও কোয়াক ডাক্তার অপরাধ করলে হেডিং হয় 'চিকিৎসক সম্মান হানি করলেন মহিলার।'
কেউ মিথ্যে মিথ্যে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বিয়ে করলে হেডিং হয়, 'একাধিক বিয়ে, কুকীর্তি ফাঁস ডাক্তারের।'
প্রত্যন্ত হাসপাতালে মায়ের জীবন বাঁচানোর জন্য এক ডাক্তার অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে গর্ভেই মৃত সন্তানের ক্রেনিওটমি করলে তার হেডিং হয় ' প্রসব করাতে গিয়ে সন্তানের মাথা ছিড়লেন চিকিৎসক।'
বিলেতে গিয়ে কোনও সাংবাদিক রুপোর চামচ চুরি করে হাতে নাতে ধরা পড়লেও কোনও মিডিয়াতেই বিশেষ উচ্চবাচ্য দেখা যায় না বলেও অভিযোগ করেছেন চিকিৎসক ঐন্দ্রিল ভৌমিক। তাঁর আবেদন, কোনও এক ব্যস্ত চিকিৎসকের পাশে থেকে দেখা হোক তিনি সারাটা দিন কী ভাবে কাটান। ওষুধের কোম্পানির কাটমানি, ল্যাব থেকে কমিশনের অভিযোগের থাও উল্লেখ করেছেন তিনি।
যদি এমন চলতে থাকে, তাহলে দলে দলে চিকিৎসক রাজ্য ছেড়ে পালাবেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিৎসকদের ওই অংশ। সেটা শুরুও হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।