১০ টাকার জন্য অমানবিক নির্যাতন শিশুকে, মাসির গরম খুন্তির ছ্যাঁকায় পুড়ল হাত-পা
না বলে ১০ টাকা নিয়েছিল ছোট্ট শ্রাবন্তী। আর সেই অপরাধের জন্য তাকে চরম মাশুল দিতে হল। মাত্র ১০ টাকা নেওয়ার অপরাধে লাঠি দিয়ে বেদম মারের পর গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দেওয়া হল।
না বলে ১০ টাকা নিয়েছিল ছোট্ট শ্রাবন্তী। আর সেই অপরাধের জন্য তাকে চরম মাশুল দিতে হল। মাত্র ১০ টাকা নেওয়ার অপরাধে লাঠি দিয়ে বেদম মারের পর গরম খুন্তির ছ্যাঁকায় অমানবিক নির্যাতন পোহাতে হল তাকে। নির্মম এই ঘটনা ঘটল নদিয়ার অরবিন্দ নগরে। অত্যাচারী মাসিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বেসরকারি এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত হোমে পাঠানো হয়েছে তাকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় অত্যাচারিত শিশুটির মা-ও নির্লিপ্ত। তাঁর কোনও অভিযোগ নেই মারধর নিয়ে। উল্টে তিনিও নিজের শিশুকে অত্যাচারিত হতে দেখেও সায় দেন।
বাবাকে হারিয়ে অসহায় শ্রাবন্তী মল্লিক ওরফে পুকি তার মাসি-মেসো ও দিদার সঙ্গে থাকে। অভিযোগ, শ্রাবন্তীকে ঠিক মতো খেতেও দেওয়া হয় না। উল্টে পান থেকে চুন খসলেই করা মারধর। যেমব সামান্য ১০ টাকা নিয়েছে বলে দুধের শিশুটিকে লাঠি দিয়ে অমানবিক মারধর করা হল। তারপর খুন্তি গরম করে দুপায়ে ছ্যাঁকা দেওয়া হল। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পোড়া দাগ।
এই ঘটনায় অভিযোগের তির মাসি ডলি মোহান্তর দিকে। ডলিই গরম খুন্তির ছ্যাঁকায় ছোট্ট শ্রাবন্তীর পায়ের চামড়া তুলে নিয়েছে। এই অত্যাচারে সায় দিয়েছে শ্রাবন্তীর দিদা, মা বাসন্তী মল্লিক ও মেসো গৌর মোহান্তও। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। সাধারণ কারণে কেন এত মারধর, অত্যাচার তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
প্রতিবেশীদের অভিযোগ, প্রতিবাদ করলে নোংরা ভাষায় আক্রমণ করা হয় তাদের। এমন কথাও বলা হয়, আমাদের বাচ্চা আমরা গলায় দড়ি দিয়ে মেরে ফেলব, তাতে পাড়ার লোকের কী? সবাই বারন করেছে তাতেও ওরা কর্ণপাত করেনি। প্রতিবাদ সত্ত্বেও অমানবিক নির্যাতন চালিয়ে গিয়েছে।
শিশুটির মা অন্যত্র থাকেন, তিনিও নাকি অত্যাচারে সায় দিয়ে বলেন দুহাত পুড়িয়ে দাও। প্রতিবেশীদের অভিযোগ, শিশুটির মায়েরও কোনও টান নেই নিজের সন্তানের প্রতি। আর এই মোহান্ত পরিবারের সদস্যদের খারাপ কাজ করার পরেও একটুও লজ্জা নেই বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীরা এদের শাস্তি দাবি করেছেন।