আট দফার নির্বাচন অনেক ছক কষার সুযোগ করে দিচ্ছে
আট দফার নির্বাচন অনেক ছক কষার সুযোগ করে দিচ্ছে
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রামে গো হারা হারছেন। তাই তাঁকে জিতে বিধানসভায় আসার জন্য একটা আসন খুঁজতে হচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল সেটা খুঁজছে। কিংবা বিজেপির বিজয় এখন সময়ের অপেক্ষা। মুখ্যমন্ত্রীর শপথ অনুষ্ঠানে আসব। এই কথাগুলো বলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এগুলো ঘটনা নয়। ঘটনা ঘটবে দুই মে-র পর। ফল যে কী হবে প্রধানমন্ত্রী জানবেন সেদিন এবং আমরাও। প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের দলের জয় সম্পর্কে আস্থা রাখতে পারেন। অন্য দল বা রাজনৈতিক নেতারাও তা পারেন। এর মধ্যে অন্যায় কিছু নেই। কিন্তু যদি দেখা যায় আশ্বাস বা আস্থা প্রকাশের ফলে জনমানসে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। এবং সেই বিভ্রান্তি যদি কোনওভাবে ভোটে প্রভাব ফেলতে পারে তাহলে তা অন্যায়। আট দফার নির্বাচনের এখনও ছ' দফা বাকি। এখন এই ধরনের প্রচারে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে। পরবর্তী পর্যায়ে ভোট দাতাদের মধ্যে তার প্রভাব ব্যাপকভাবে পড়তেই পারে।
নীতিগতভাবে এমনটা করা উচিত নয়
প্রধানমন্ত্রী যেভাবে প্রচার করছেন তার পিছনে সত্যতা কিছু থাক বা না থাক তিনি বলেছেন এটাই বড় কথা। তার ফলে তাই নিয়ে জল্পনা জমজমাট। শুধু তাই নয়, বাবু যত বলে পারিষদ-দলে বলে তার শতগুণ। নরেন্দ্র মোদি এ কথাগুলো বলার পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং অন্য নেতারা এই কথাগুলো জোরকদমে প্রচার করে চলেছেন। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসও বলতে শুরু করেছে শুভেন্দু অধিকারী আবার বহরমপুরে প্রার্থী হওয়ার জন্য মনোনয়ন দাখিল করবেন। কারণ তিনি জেনে গিয়েছেন নন্দীগ্রাম থেকে তাঁর জেতার কোনও সম্ভাবনা নেই। তারা এ কথা বলতেই পারে। কিন্তু যেহেতু এখনও ছ' দফার ভোট বাকি তাই নীতিগত ভাবে এ কথা বলা উচিত নয়। আবার বলছি তাতে যেসব ভোটার এখনও ভোট দেননি তাঁরা বিভ্রান্ত হবেন। তাঁদের মধ্যে দোলাচল তৈরি হবে।
শেষ ২ দফা ভোটের মনোনয়নের শেষ দিন ৭ এপ্রিল
হাতে এখনো সময় আছে ইচ্ছে করলে যে কেউ ৭ এবং ৮ দফার নির্বাচনে এখনও মনোনয়নপত্র দাখিল করার সুযোগ পাবেন। এই দু'দফার ভোটের জন্য মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ৭ এপ্রিল। দফায় দফায় নির্বাচনের জন্য আলাদা আলাদা মনোনয়নপত্র দাখিল, স্ক্রুটিনি এবং মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের দিন নির্দিষ্ট করা হয়েছে। দুই দফার ভোট ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। তৃতীয় দফার ভোট হবে ৬ এপ্রিল। এই তিন দফার নির্বাচনে যেসব প্রার্থী মনে করবেন তিনি হেরে যেতে পারেন, অতএব তাঁর আরেকটি আসনে লড়াই করার সুযোগ নেওয়া উচিত, তাঁরা তা পাবেন। সেই কথা মাথায় রেখেই অনেক জল্পনা জন্ম নিতে শুরু করেছে। এক দফায় হলে তো কথাই নেই, দুই কিংবা তিন দফায় ভোট হলেও এই রকম অনেক ভাবনা চিন্তা করে, অনেক ছক কষে দ্বিতীয় বার ভোটে দাঁড়ানোর সুযোগ পাওয়া যেত না।
পরিকল্পিতভাবে মুখে মুখে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে জল্পনা
মমতা
বন্দ্যোপাধ্যায়
নন্দীগ্রামে
হারছেন
এমন
গুঞ্জন
পরিকল্পিতভাবে
ছড়িয়ে
দেওয়া
হচ্ছে।
যাতে
জনমনে
একটা
বিভ্রান্তি
তৈরি
হয়
এবং
তৃণমূল
কংগ্রেসের
কর্মীদের
মনোবল
ভেঙে
যায়।
একইরকম
ভাবে
তৃণমূল
কংগ্রেস
বলছে,
মমতার
কাছে
নন্দীগ্রামে
হেরে
যাচ্ছেন
শুভেন্দু।
তাই
জিতে
আসার
জন্য
তাঁকে
অন্য
একটা
আসন
খুঁজে
নিতে
হচ্ছে।
মমতার
দল
যদি
যুদ্ধে
জেতে
এবং
মমতা
হেরে
যান
তাহলেও
কোনও
সমস্যা
নেই।
নেত্রী
থাকবেন
মমতাই।
মুখ্যমন্ত্রীও
হবেন
তিনি।
তারপর
তাঁকে
একটি
নিরাপদ
আসন
থেকে
জিতিয়ে
আনা
হবে।
কাজেই
তিনি
যে
হেরে
যাওয়ার
ভয়ে
অন্য
আসন
খুঁজছেন
এমনটা
ভাবনাতেও
আসা
উচিত
নয়।
সেটাই
করা
হচ্ছে।
এবং
ধরে
নেওয়া
যেতে
পারে
পরিকল্পিত
ভাবেই
তা
করা
হচ্ছে।
শুভেন্দুর
ক্ষেত্রেও
একই
ঘটনা
ঘটতে
পারে।
তবে
বিজেপি
এখনও
মুখ্যমন্ত্রী
পদপ্রার্থী
কাউকে
ঘোষণা
করেনি।
যদিও
নরেন্দ্র
মোদি
প্রায়
প্রতি
সভাতেই
জোর
দিয়ে
জানাচ্ছেন
মুখ্যমন্ত্রী
হবেন
বাংলার
ভূমিপুত্র।
এবং
সেই
ভূমিপুত্র
শুভেন্দু
এটা
ভাবা
বেশ
কষ্টকল্পনা।
আট
দফা
ভোটের
সুযোগ
নিয়ে
পরিকল্পিত
ভাবেই
এই
কাজগুলো
করা
হচ্ছে।
মন বলছে বিজেপি জিতবে, যুক্তি বলছে তৃণমূল